কলকাতা : মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথামতোই বাংলায় জেলায় জেলায় পৌঁছে যাচ্ছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের(Jagannath Temple)মহাপ্রসাদ। সেই আবহেই ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের আবহমান চিত্র ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমান জুড়ে। দুয়ারে রেশনের মাধ্যমে শনিবার থেকেই এই জেলায় মহাপ্রসাদ বিতরণ শুরু হয়েছে। চলবে ৪ জুলাই পর্যন্ত। প্রাথমিকভাবে এই জেলায় এই জগন্নাথের মহাপ্রসাদ পাবেন প্রায় ৭ লক্ষ পরিবার।
Read More: পারস্পরিক বোঝাপড়া বাড়ানোর ডাক, চিন ও বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক বৈঠক পাকিস্তানের
এদিন বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে মহাপ্রসাদ(Jagannath Temple)দেওয়ার লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। ধর্মীয় ভেদাভেদ ভুলে সেই লাইন হয়ে উঠেছিল মিলনক্ষেত্র। হিন্দু জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি মুসলিম জনপ্রতিনিধিরাও মহাপ্রসাদ বিতরণ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন। “মুখ্যমন্ত্রীই পারেন সকলকে একসঙ্গে মেলাতে। পূর্ব বর্ধমান জেলার মানুষও এদিন বুঝিয়ে দিয়েছেন এই বাংলা সম্প্রীতির বাংলা, সৌভ্রাতৃত্বের বাংলা। সেখানে বিভেদ, বিভাজনের কোনও জায়গা নেই”, জানালেন জনৈক প্রতিনিধি।

ওয়েস্ট বেঙ্গল এমআর ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের জেলা কমিটির সম্পাদক পরেশনাথ হাজরা বলেন, “যেহেতু এর সঙ্গে ধর্মীয় ভাবাবেগ জড়িত তাই নির্দিষ্ট জায়গায় শুচিতা মেনে প্রসাদ বিলি করা হচ্ছে।” শনিবার জামালপুরে দুয়ারে রেশনের শিবিরে মহাপ্রসাদ নিতে লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন সবিতা জানা, শেখ এনারুলরা। বিতরণ করছিলেন বিডিও পার্থসারথি দে, সহ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ভূতনাথ মালিক, পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মেহমুদ খান। সবিতার হাতে মহাপ্রসাদ তুলে দেন ভূতনাথ। এনামুলের হাতে মহাপ্রসাদ তুলে দেন মেহমুদ খান।
একই ছবি ধরা পড়েছে ভাতারের এডুয়ার গ্রামে। লাইনে দাঁড়িয়ে নীলকান্ত অধিকারীদের সঙ্গেই জগন্নাথধামের মহাপ্রসাদ নিলেন গ্রামের আলাউদ্দিন মোল্লা, আব্দুল আলিম। তাঁদের কথায়, “আমরা সবাই এক লাইনে দাঁড়িয়ে জগন্নাথধামের মহাপ্রসাদ গ্রহণ করছি-এটা সৌভ্রাতৃত্বের একটা বন্ধন। এমন পরিবেশই তো দরকার। আমরা এইভাবেই একসাথে থাকতে চাই।”
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1936419478775943352?s=19
উল্লেখ্য, এই গ্রামেই বাড়ি ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীর। প্রসাদ বিতরণের সময় বিধায়ক সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা ছিলেন। একই দৃশ্য দেখা গিয়েছে রায়না-২, কালনা-২, কেতুগ্রাম-১ ও ২ সহ জেলার অন্যান্য ব্লকেও। “এখন মহাপ্রসাদ গ্রহণ করার মধ্যে সর্বধর্মের মানুষের যে আগ্রহ সাধারণ মানুষের মধ্যে দেখা গিয়েছে তা এই বাংলাতেই সম্ভব”, জানিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস।