প্যারিস শহর, যেখানে সাহিত্য, শিল্প, ফ্যাশন, আবেগ আর ফুটবল কোথায় যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আবার দেশের সেরা ক্লাবে গিয়ে আলোচনায় ডুব দিলে ফুটবলের পাশাপাশি বেশি করে উঠে আসে ফ্যাশন আর বিনোদনের কথা। নেইমার, এমবাপেদের ক্লাবে দেখা যায় সেখানে ঠিক যতটা ফুটবল, ততটাই ফ্যাশন আর ব্র্যান্ডিংয়ের চাকচিক্য। প্যারিস সাঁ জাঁরমা— বিশ্বের প্রথম ক্লাব যেখানে ফুটবলের সঙ্গে ফ্যাশনের মেলবন্ধন ঘটেছে। তাই হয়তো এখানে নেইমারদের কথা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে উঠে আসে মণীশ অরোরার কথা! যে ভারতীয় ফ্যাশন ডিজাইনার গত বছরই এই ক্লাবের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। আর প্যারিস ফ্যাশন উইকের ক্যাটওয়াকে তুলে নিয়ে এসেছেন পিএসজি-কে। এই বিষয়ে ক্লাবের কমিউনিকেশন ডিরেক্টর জাঁ মার্সিয়াল রাইবস বলেন, “মণীশের কাজ আমার দারুন লাগে। প্রচুর রং, প্রচুর আবেগ, কিছুটা পাগলামো— সব মিলিয়ে ও আমাদের ব্র্যান্ড ভ্যালু অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে”।
প্যারিসের মতো শহরে ভারতের ডিজাইনার? এই প্রশ্ন উঠতেই, উঠে আসে ক্লাবের বিশ্বায়ন নীতি। যে নীতি বলে, ফুটবল ছড়িয়ে দেওয়ার আগে পিএসজি ব্র্যান্ডের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দাও গোটা বিশ্বকে। জানা যাচ্ছে, সাত বছর আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাব ভক্তের সংখ্যা ছিল পাঁচ লাখ। যার মধ্যে আশি শতাংশই ফরাসি। এখন যে সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে সাত কোটি। যার ৯৭ শতাংশই আন্তর্জাতিক পরিবারের। ভারত থেকে সংখ্যাটা বিশ লাখ। কিন্তু শুধু কি ফ্যাশন, বিনোদন আর বাণিজ্যিক ঘেরাটোপে আটকে আছে পিএসজি-র ফুটবল? নাকি আবেগের বিস্ফোরণও আছে। বুধবার রাতে মেয়েদের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পিএসজি বনাম চেলসি কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচ দেখতে দেখতে সেই প্রশ্নের জবাব পাওয়া গেল। মেয়েদের ম্যাচ দেখতে ১২ হাজারের ওপর দর্শক এসেছেন। ফরাসি সময় সন্ধ্যা সাতটায় শুরু ম্যাচ। কিন্তু সঙ্গে থাকা ফরাসি লিগ ওয়ান কর্তাদের থেকে জানা গেল, দুপুর থেকে ভিড় জমতে শুরু করেছে। আর ম্যাচ শুরুর সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়ে গেল গান। যার কাছাকাছি ইংরেজি তর্জমাটা এ রকম— “ইউ ক্যান ডু ইট পিএসজি, ইউ ক্যান ডু ইট”।