চলতি আইপিএল মরশুমে এই প্রথম জয় পেল মুম্বই। বিরাটের ভালো ইনিংসের পরও রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৬ রানে হারিয়ে দিল মুম্বই ইন্ডিয়ানস। ১৮৮ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে শেষ ওভারে আরসিবির দরকার ছিল ১৭ রান৷ শেষ বলে কোহালিদের প্রয়োজন ছিল ৭ রান। ম্যাচের শেষ বলে মাত্র এক রান খরচ করে মুম্বইকে ম্যাচ জেতালেন লাসিথ মালিঙ্গা। মালিঙ্গা শেষ ওভারে দিয়েছেন মোটে দশ রান। ১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অভিজ্ঞতাই এগিয়ে দিয়েছে মুম্বইকে।বুমরা বল করতে এসে বিরাটকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে দেওয়া মুম্বইয়ের জয়ের একটা বড় কারণ। বুমরা ১৯ তম ওভারে মাত্র পাঁচ রান দেন। তাঁর এই ওভারেই জয়ের রাস্তায় অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে আরসিবি। এগিয়ে যায় মুম্বই। যদিও মুম্বইয়ের অধিনায়ক রোহিত শর্মা ৩৩ বলে ৪৮ রান করেছেন। মুম্বই-এর জয়ের এক জন নায়ক তিনিও।
বুধবার ইডেনে নো বলের জন্য আন্দ্রে রাসেলের আউট বাতিল হওয়া নিয়ে এক নাটক হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ফের আর এক দফা নাটক হয়ে গেল সেই নো-বল নিয়েই। এই আইপিএল যেন নো-বল কেলেঙ্কারিতে জর্জরিত হয়ে গেছে। ম্যাচের শেষ বলটা করতে গিয়ে যে লাসিথ মালিঙ্গার পা ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, তা আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে যায় কিন্তু টিভি রিপ্লে-য় ধরা পড়ে। ফলে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারানোর শেষ সুযোগটাও পায়নি আরসিবি। এই রিপ্লে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরাট কোহালি। আম্পায়ারিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগে তিনি বলে দেন, “এটা কি আইপিএল হচ্ছে, না ক্লাব স্তরের ক্রিকেট? আম্পায়ারদের চোখ খোলা রাখা উচিত ছিল। শেষ বলে যা হল, তা হাস্যকর। এত হাড্ডহাড্ডি ম্যাচে এ রকম ঘটনা! জানি না কী বলব। আম্পায়ারদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত ছিল”। বৃহস্পতিবার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে শেষ বলে জেতার জন্য সাত রান দরকার ছিল বিরাটদের। কিন্তু সেই বলে লাসিথ মালিঙ্গার বল আম্পায়ার ‘নো’ ডাকলে ম্যাচটা জেতার শেষ সুযোগ পেতেন দুই ব্যাটসম্যান এ বি ডি’ভিলিয়ার্স ও শিবম দুবে। লাসিথ মালিঙ্গার শেষ বল আম্পায়ার ‘নো’ ডাকলে জিততেও পারত বেঙ্গালুরু। তবে তা না হওয়ায় মুম্বইয়ের জয়ের পথ প্রশস্ত হয়।