পাকিস্তান যতই জঙ্গীদের আশ্রয় দিক, ভারতের বিভিন্ন নাশকতামূলক ঘটনায় যতই বারবার পাক-মদত পুষ্ট জঙ্গীদের নাম উঠে আসুক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান কখনোই তা মানতে চাননি৷ বরং শুধুই অজুহাত দিয়েছেন দোষী প্রমাণিত হলে সাজা দেবেন৷ একই অজুহাত তিনি পুলওয়ামা হামলার পরেও দিয়েছেন৷ ভোল বদলে শান্তি স্থাপন করতেও চেয়েছেন৷ গতকাল বায়ুসেনার বালাকোটে ৩০০ জঙ্গী নিকেশের ঘটনা তাঁর কপালে আবার এনে দিয়েছে চিন্তার ছাপ৷ চাপের মুখে জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকে দেশের সশস্ত্র বাহিনী ও জনতাকে সম্ভাব্য যে কোনও পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন পাক প্রধানমন্ত্রী৷
অধিবেশন শুরু হতেই স্লোগান উঠল পাক পার্লামেন্টে— ‘‘শরম করো, শরম করো / ইমরান খান শরম করো!’’ পাক মাটিতে ভারতীয় বিমানবাহিনীর অভিযানের কয়েক ঘণ্টা পেরিয়েছে তখন। ভারতের এমন প্রত্যাঘাতের পরেই পাক প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দল পিটিআইয়ের বিরুদ্ধে ‘লজ্জা হোক’ বলে এই স্লোগান তোলেন বিরোধীদের একাংশ।
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের বালাকোটে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটিতে ভারতীয় বায়ুসেনার অভিযান এবং তাতে বহু হতাহতের খবর মানতেই চায়নি পাক জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি। তাদের দাবি, ‘‘আত্মতুষ্টির জন্য আরও এক বার বেপরোয়া ও মনগড়া দাবি করছে ভারত সরকার”। যদিও পরে পাকিস্তানের তরফেই স্বীকার করে নেওয়া হয় এই প্রত্যাঘাতের খবর।
পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির দাবি, ভারতীয় বিমানবাহিনী পাকিস্তানের আকাশসীমায় ঢোকার ‘বহুমুখী চেষ্টা’ চালিয়েছিল ঠিকই। কিন্তু পাক যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফিরে যেতে বাধ্য হয়। সকালে টুইটারে কিছু ছবি-সহ একই দাবি করেছিলেন সেনা মুখপাত্র গফুর। ভাঙবো তবু মচকাবো না এই মনোভাব নিয়ে লিখেছিলেন, ‘তাড়াহুড়ো করে বোমা ফেলে গিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। তাতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।’ সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘‘২১ মিনিটের অভিযানের দাবি করছে ভারত। ২১ মিনিট কেউ পাকিস্তানের আকাশে থাকার চেষ্টা করে দেখাক”। যদিও এই কোনও কথাতেই চিড়ে ভিজছেনা। কারণ যেভাবে বারংবার পাক হামলার ফলে রক্তাক্ত হচ্ছে ভারতের মাটি, তাতে করে এই প্রত্যাঘাতই যোগ্য জবাব।