ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই বাম আমলে বিন্দুমাত্র উন্নয়ন না হওয়া ভাঙর সেজে উঠেছে নতুন করে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও রাজ্য সরকারের তৎপরতার ফলস্বরূপ ভাঙড়ের পাওয়ার গ্রিড সাবস্টেশনের বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু হয়েছে। নয়া নির্মাণে হাড়োয়া রোড যেন হয়ে উঠেছে এক্সপ্রেসওয়ে। এই উন্নয়নের ধারা বজায় রেখেই এবার ভাঙড় ২ নং ব্লকের পোলেরহাট–২ পঞ্চায়েতের টোনা গ্রামে নতুন রূপে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, রাজ্য সরকার টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রটিকে ১০ বেডের হাসপাতালে উন্নীত করতে চলেছে। দ্রুত কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসকের দপ্তর। এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১০ বেডের হলে শুধু পোলেরহাট ১ বা ২ পঞ্চায়েতের মানুষই নন, উপকৃত হবেন উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়া ও রাজারহাটের বাসিন্দারাও।
স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আমূল পরিবর্তনের কাজ শুরু হয়েছে। এই উদ্যোগে গ্রামবাসীরাও। তাঁরাও স্বীকার করেছেন, গ্রামের রাস্তা, পোলেরহাট হাই স্কুল রোড, পানীয় জল, আলো এবং টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের উন্নতির জন্য সবরকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সরকার। ভাঙড়ের ব্লক স্বাস্থ্য দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘গুরুত্ব সহকারে দ্রুততার সঙ্গে টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংস্কারের কাজ চলছে।’
জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, টোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে ১০ বেডে উন্নীত করার পাশাপাশি সাবস্টেশন লাগোয়া এলাকার উন্নয়নের কাজও দ্রুত গতিতে করা হচ্ছে। রাস্তা, আলো, পানীয় জল, খাল সংস্কার প্রভৃতির কাজ চলছে। ১০টি গ্রামপঞ্চায়েত নিয়ে ভাঙড় ২ নং ব্লক। জনসংখ্যা ৩ লক্ষ ছাড়িয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক মানুষের স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য একমাত্র ভরসা ছিল জিরানগাছা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এবার টোনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রও তাতে যোগ দিতে চলেছে।