ক্যানসার থাবা বসাল খোদ স্যামসাংয়ে৷ ঘটনার সূত্রপাত ২০১৭ সালে৷ গত বছর কারখানাতেই বিষক্রিয়ার ফলে লিউকোমিয়ায় আক্রান্ত হয়ে এক কর্মীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ কোরিয়ায় স্যামসাংয়ের কারখানাগুলিতে কর্মরত শ্রমিকদের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক দেখা দেয়।
বর্তমানে কর্মী-স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে নিরাপদ নয় স্যামসাংয়ের কারখানা। দক্ষিণ কোরিয়ায় তাদের চিপ এবং ডিসপ্লে কারখানার অন্তত ২০০ কর্মী ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ইতিমধ্যে ৭০ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এই ঘটনার জন্য শুক্রবার প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইল স্যামসাং কর্তৃপক্ষ এবং অসুস্থ কর্মীদের ক্ষতিপূরণের কথাও ঘোষণা করেছেন তাঁরা।
যদিও প্রথমে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ তাদের কারখানায় কর্মীদের অসুস্থতার ঘটনার সত্যতা অস্বীকার করেছিলেন৷ কিন্তু অবশেষে স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার সংস্থার চিফ এক্সিকিউটিভ কিম কি-নাম বলেছেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত কর্মী ও তাদের পরিবারের কষ্ট বোঝার ক্ষেত্রে আমাদের উদ্যোগ পর্যাপ্ত ছিল না৷’
প্রথমে কর্তৃপক্ষের তরফে এই ঘটনা অস্বীকার করায় স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ কর্মচারীরা৷ তাই নিজেদের ভাবমূর্তি সঠিক রাখতেই স্যামসাং কর্মক্ষেত্রে বিষক্রিয়ার ফলে ক্যানসারে আক্রান্ত কর্মীদের ক্ষতিপূরণ দেবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷ তবে এই ক্ষতিপূরণের অঙ্কটি ঠিক কত, সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর, প্রাক্তন ও বর্তমান কর্মীদের প্রত্যেককে ১৩২,৬৪৯.৪৫ মার্কিন ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দিতে পারে দক্ষিণ কোরিয়ার এই সংস্থাটি। ২০২৮ সালের মধ্যে সবার কাছে ক্ষতিপূরণের অর্থ তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা।
ক্যানসার প্রকৃত অর্থেই মারণ রোগ৷ আর কর্মক্ষেত্রে এমন রোগ হানা দেওয়াতে স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত কর্মচারীরা৷