কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র হয়েই কাজ শুরু করে দিলেন অতীন ঘোষ। বস্তি অঞ্চলগুলিতে জল সংরক্ষণের ঠিকঠাক ব্যবস্থা না থাকায়, সমস্যার মধ্যেই দিন কাটাতে হয় বস্তিবাসীকে। তাই সেদিকে বিশেষ নজর দিতে চান অতীন। তাঁর কথায়, ‘বস্তির মানুষ জল সংরক্ষণ করতে পারেন না। খুব দুর্দশার মধ্যে ওঁদের কাটাতে হয়। ইচ্ছে আছে, মেয়রের সঙ্গে কথা বলে বস্তি এলাকায় ট্যাঙ্ক বসানোর।’
তিনি ডেপুটি মেয়র হওয়ার পর শুক্রবার সকাল থেকেই বহু মানুষ তাঁর উত্তর কলকাতার বাড়িতে এসে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে গেছেন। গতকাল তিনি জানিয়েছেন, ‘কলকাতা পুরসভার অনেক কাজ আছে। কাজ করার ইচ্ছে থাকলে ঠিক করা যায়। মেয়র আমায় যে দায়িত্বই দেবেন, আমি তা নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব।’
শহর পরিষ্কার রাখার জন্য ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি চান কলকাতা হোক ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি’। এ প্রসঙ্গে অতীন বলেন, ‘শহরে জঞ্জাল ফেলা চলবে না। দেখা যায়, এলাকায় পুরসভার গাড়ি যাওয়া সত্ত্বেও রাস্তায় প্লাস্টিকের প্যাকেটে অনেকে জঞ্জাল ফেলে যান। এ ব্যাপারে সচেতনতা বাড়াতে হবে। পাশাপাশি যাঁরা শহর অপরিষ্কার করবেন, তাঁদের জরিমানার পরিমাণ বাড়াতে হবে।’
এর আগে অতীন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বে ছিলেন। স্বাস্থ্যক্ষেত্রে আরও সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন জায়গায় ডায়ালিসিস সেন্টার খোলার ইচ্ছে আছে। যেখানে কম খরচে মানুষ ডায়ালিসিস করার সুযোগ পাবেন। রক্ত পরীক্ষার কেন্দ্র আরও বাড়াতে হবে।’ ডেঙ্গু নিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘ডেঙ্গুর প্রকোপ অনেকটাই কমেছে। এ ব্যাপারে সচেতনতা আরও বাড়াতে হবে। প্রয়োজন হলে পুরস্কৃত করা হবে।’