স্বাধীনতার আগে সিমলা ছিল ব্রিটিশদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। এখান থেকেই দেশ শাসন করত ব্রিটিশ শাসকেরা। এবার এই ‘সিমলা’-র নাম বদলের দাবি তুলল হিমাচল প্রদেশের বিজেপি সরকার। তাদের দাবি, সিমলা আন্তর্জাতিক মানের হলেও নামটা ব্রিটিশদের দেওয়া। এর পুরনো নামটা ভুলে গিয়েছে সকলে। মহাকালী শ্যামলা দেবীর নামেই নাকি সিমলার একসময় নাম ছিল ‘শ্যামলা’। ব্রিটিশরা সেই নাম বদলে সিমলা নাম দেয়। তারপর থেকে শ্যামলা নামটা সকলে ভুলেই গিয়েছেন। হিমাচল প্রদেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিপিন সিং পারমারের দাবি, ‘বহুদিন ধরেই নাকি শিমলার পুরনো নাম ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব আসছিল রাজ্য সরকারের কাছে। এবার সেটা নিয়ে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে’।
হিমাচল প্রদেশের কয়েকটি হিন্দু সংগঠন নাকি এই ইস্যুর জিগির তুলে প্রচার শুরু করেছে। এই নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত প্রচার চলছে। কংগ্রেস নেতা হরভজন সিং ভাজ্জি এই নাম বদলের সিদ্ধান্তের প্রবল বিরোধিতা করেছেন। তাঁর দাবি, শুধু ভারতেই নয় বিদেশি পর্যটকদের কাছে সিমলা গোয়ার মতই জনপ্রিয়। তাই সিমলার নাম বদলে দিলে তার আন্তর্জাতিক মান চলে যাবে। এমনকী পর্যটকদের আনাগোনাও কমে যাবে। এতে সিমলার উন্নয়ন থমকে যাবে’।
রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, সিমলার নাম বদলে ‘শ্যামলা’ করা উগ্র হিন্দুত্ববাদী মনোভাবেরই বহিঃপ্রকাশ। এর আগে ঐতিহ্যবাহী মোগলসরাই স্টেশনের নাম পরিবর্তিত হয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় স্টেশন হয়েছে।এলাহাবাদেরও নাম পরিবর্তন করে হয়েছে প্রয়াগরাজ৷ এবার সেই পথেই পা বাড়াল সিমলাও। এর পেছনে বিজেপির রাজনৈতিক অভিসন্ধি আছে বলেও মনে করে ওয়াকিবহাল মহল। তাঁদের প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে ‘বাংলা’ করায় যাঁদের এত আপত্তি তারা হুটপাট এমন নাম বদল করছে কেন?