নয়াদিল্লি: মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পরিস্থিতি এখন আন্তর্জাতিক স্তরে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকা থেকে চিন সমস্ত দেশগুলি নিজেদের অবস্থান কোনোভাবে স্পষ্ট করে দিলেও, ভারত কিন্তু এখনও নীরব দর্শক। ইজরায়েল-ইরান সংঘাতে(Israel Iran Conflict)এখনও কমবেশি নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে ভারত সরকার। কেন্দ্রের এই নীরবতা নিয়ে এবার তোপ দাগলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধী। ভারত সরকারের মৌনতাকে ‘নীতি বিরুদ্ধ’ এবং ‘কাপুরুষোচিত’ বলে কটাক্ষ সোনিয়ার।
Read More: শিশুহত্যা থেকে শুরু করে অকল্পনীয় অত্যাচার! ইজরায়েলকে কালো তালিকাভুক্ত করল রাষ্ট্রপুঞ্জ
শুধু শান্তির বার্তা ছাড়া মোদি সরকার কারও পক্ষ নিয়েই কোনওরকম বার্তা দেয়নি। কিন্তু কেন্দ্রের এই মৌন অবস্থানকে তোপ দেগে দিলেন সোনিয়া সাফ বলে দিলেন, “ইজরায়েল ইরানের সাধারণ জনগণের উপর যে হামলা চালাচ্ছে সেটা একতরফা ও আইনবিরুদ্ধ। ভারত সরকারের উচিত এ নিয়ে নীরবতা ভঙ্গ করা।”

ইরান-ইজরায়েল সংঘাত(Israel Iran Conflict)প্রসঙ্গে ভারত সরকারের অবস্থানের তীব্র সমালোচনা করেন সোনিয়া। তিনি বলেন, “গাজা এবং ইরানের এই মানবিক সংকটে নয়াদিল্লির নীরবতা আমাদের নৈতিক এবং কূটনৈতিক ঐতিহ্যের পরিপন্থী। এতে শুধুই মধ্যপ্রাচ্যে ভারত কণ্ঠস্বর হারাবে তাই নয়, এটা আমাদের নৈতিকতার সঙ্গেও আপস করা।” যদিও কংগ্রেস সভানেত্রী বলছেন, “এখনও দেরি হয়ে যায়নি। নয়াদিল্লির উচিত এখনই মধ্যপ্রাচ্য নিয়ে অবস্থান বদলানো।”
মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাতের আবহে কেন্দ্র নীরব থাকলেও কংগ্রেস যে ইরানের পক্ষে সেটা স্পষ্ট করে দিয়েছেন সোনিয়া। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন একটি পত্রিকাকে জানিয়েছেন, “ইরান আমাদের পুরনো বন্ধু। শুধু কূটনৈতিক সম্পর্কই নয়, ইরানের সঙ্গে আমাদের সাংস্কৃতিক যোগও রয়েছে।” সোনিয়া মনে করিয়েছেন, “অতীতে একাধিকবার কাশ্মীর ইস্যুতে রাষ্ট্রসংঘে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক রিপাবলিক অফ ইরান।” এই লড়াইয়ে কংগ্রেস যে ইরানেরই পাশে সেটা সাফ জানিয়েছেন সোনিয়া।
Link: https://x.com/ekhonkhobor18/status/1936364101854478787?s=19
ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে নিষ্ঠুর দেগে দিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রীর বক্তব্য, “ইজরায়েল যেভাবে ইরানে হামলা চালিয়েছে সেটা ইরানের সার্বভৌমত্বে আঘাত। এটা বেআইনি, একতরফা এবং আঞ্চলিক শান্তি বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা। কংগ্রেস এই হামলার নিন্দা করছে। ইরান এবং আমেরিকার মধ্যে যখন কথাবার্তা শুরু হচ্ছিল, তখন হামলা কেন?”
তিনি আরও বলেছেন, মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধান তুলসী গাবার্ডই জানিয়েছেন, ইরান কোনওরকম পরমাণু অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে না। ২০০৩ সালে সেই চেষ্টা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রিম লিডার আয়াতোল্লা আলি খামেনেই সেটার অনুমতিও দেননি। তারপরও ইরানে কেন ইজরায়েল হামলা চালাল, প্রশ্ন তুলছেন সোনিয়া। আর শুধু ইরান নয়, ইজরায়েল যেভাবে গাজা ভুখণ্ডে লাগাতার ‘গণহত্যা’ চালাচ্ছে, সেটারও তীব্র নিন্দা করেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।