বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাজ্যবাসীর জন্য একাধিক জনমুখী প্রকল্পের সূচনা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলাদের উন্নতিসাধনের উদ্দেশ্যে সবুজসাথী, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কৃষকবন্ধু ইত্যাদি প্রকল্পগুলি বড় অবদান রেখেছে ও ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছে। বিশ্বদরবারে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে কন্যাশ্রী। বাংলার বিজেপি ও কংগ্রেস নেতারা আকছার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে কুৎসিত আক্রমণ করেন। অথচ, ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যগুলিতে সেই মডেলই নির্লজ্জভাবে অনুকরণ করছে বিজেপি। অতিসম্প্রতি মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনের আগেও ধরা পড়েছে সেই ছবি। বাংলায় তুমুল জনপ্রিয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পকে কার্যত টুকে বিধানসভা ভোটের আগে মহারাষ্ট্রে ‘লড়কি বহিন যোজনা’ চালু করেছে বিজেপি। এই প্রকল্পই ভোট বৈতরণী পার করে দিয়েছে।
অন্যদিকে বাংলার ৬টি আসনেই উপনির্বাচনে গোহারা হেরেছে গেরুয়াশিবির। ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানোর পরিকল্পনা করেছে তারা। এবিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজেপিকে তীব্র কটাক্ষ করেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। “নাচতে না জানলেই বলা হয় উঠোন বাঁকা। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে এসে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের তত্ত্বাবধানে বাংলার উপনির্বাচন আয়োজিত হয়েছিল৷ এই উপনির্বাচনে উপস্থিত ছিল গোটা মিডিয়াকুল৷ তারপরেও কীভাবে এই অভিযোগ তোলা হচ্ছে?”, প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।