তৃণমূলের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ‘ভোটগুরু’ প্রশান্ত কিশোর। আনুষ্ঠানিকভাবে জোড়াফুল শিবিরের তরফে তাঁকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সমাবেশে সমাজের কোন অংশের লোকজন আসছেন, তাঁদের কী বক্তব্য, শাসকদল আর জননেত্রীর কাছে তাঁদের চাহিদাটাই বা ঠিক কী—এসব খুঁটিয়ে জানতেই ধর্মতলার জমায়েতে উপস্থিত থাকবেন প্রশান্ত আর তাঁর টিম ইন্ডিয়ান পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটির টিম।
সুত্রের খবর, বিগত বেশ কয়েকটি ২১ জুলাইয়ের জমায়েতের ভিডিও ক্লিপিংস খতিয়ে দেখে সমাবেশে উপস্থিত মানুষের উন্মাদনার আঁচ মাপতে কাজ করছে আই প্যাক। জমায়েতের ‘মুড’-এর নির্যাস নিংড়েই তৃণমূলের জন্য ‘রাজনৈতিক দাওয়াই’ বানাবেন ভোটগুরু। প্রসঙ্গত, গত ৬ জুন পলিটিক্যাল স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে চুক্তিবদ্ধ হয় তৃণমূল। তারপর তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে তিনবার আলোচনায় বসেছেন প্রশান্ত। কয়েক দফার দাওয়াইও তিনি ধার্য করেন জোড়াফুল শিবিরের জন্য। তৃণমূলের জেলা সভাপতিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন ভোটগুরু। সেখানে সবার কথা শুনে কিছু পরামর্শ দিয়েছিলেন প্রশান্ত। এবার জেলাস্তরে যে তাঁর টিমওয়ার্ক শুরু হবে, সেই বার্তাও দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, কালীঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পার্টি অফিসের ওই বৈঠকে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে থাকার ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, এ মাসেই আবার দেখা হবে আপনাদের সঙ্গে।
তূণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় স্তরে যে ‘ভোকাল টনিক’ প্রশান্ত দিয়েছেন, তার সারমর্ম হল, হতাশ হলে চলবে না। বিজেপি একবার ভালো ফল করেছে মানে, বারবার করবে, এমনটা নয়। পুরনো সব কিছু ভুলে ভাবতে হবে, আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনটাই যেন প্রথম রাজনৈতিক যুদ্ধ। বুথস্তর থেকে শুরু করতে হবে সবকিছু। নতুন জোশ আর উন্মাদনা নিয়ে লড়াকু মানসিকতা তৈরি করতে হবে। নতুন করে হারানোর আর কিছু নেই। এবার জয় করার পালা।