এনআরএস কান্ডে জুনিয়র ডাক্তার নিধনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা বাংলা। আজ কিছুক্ষণ আগেই নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাজে ফিরছেন সকলে। অন্যদিকে বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারদের নিরাপত্তার জন্যে তৈরি করা হবে স্থায়ী ফাঁড়ি।
কলকাতার আন্দোলনের ঢেউ বাঁকুড়ার মতো জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত জেলাতেও আছড়ে পড়ে। এই অবস্থায় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ চত্বর কার্যত দুর্গে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পুলিশ-প্রশাসন। রবিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা পুলিশের কর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক হয়। বৈঠকে হাসপাতালের নিরাপত্তার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বৈঠক শেষে হাসপাতালে পুলিশ মোতায়েনের বিষয়টি জানানো হয়। পাশাপাশি হাসপাতালে একটি স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি তৈরিরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিরাপত্তার আমূল পরিবর্তন করা হচ্ছে। এতদিন হাসপাতালে পুলিশ পিকেট ছিল। এবার আমরা ওই পিকেট উঠিয়ে স্থায়ী ফাঁড়ি গঠন করছি। এবার থেকে হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টার জন্য একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে একাধিক সশস্ত্র পুলিশ কনস্টেবল এবং সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন থাকবে।
বাঁকুড়া মেডিক্যালের অধ্যক্ষ ডাঃ পার্থপ্রতিম প্রধান বলেন, এদিন আমরা দফায় দফায় জেলার পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করি। মেডিক্যাল কলেজ, হস্টেল এবং হাসপাতালের নিরাপত্তা নিয়ে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার থেকে হাসপাতালের মূল গেটে ২৪ ঘণ্টার জন্য দু’জন সশস্ত্র পুলিসকর্মী মোতায়েন থাকবেন। প্রসূতি, শিশু বিভাগের সামনে পর্যাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সহ একজন করে পুরুষ এবং মহিলা কনস্টেবল থাকবেন। আউটডোর এবং হাসপাতালের এমএসভিপি-র অফিসের সামনেও সিভিক ভলান্টিয়ার থাকবে।
জুনিয়র ডাক্তার এবং ছাত্রদের হস্টেলেও সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি হাসপাতালের নিজস্ব নিরাপত্তাকর্মী বাড়ানোরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ৬০ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। আরও ১০০ জন নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগের অনুমোদন স্বাস্থ্য ভবনে চেয়ে পাঠানো হচ্ছে। রক্ষীর পাশাপাশি নতুন নতুন জায়গায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। বর্তমানে ৮০টি ক্যামেরা রয়েছে। আরও ৭০টি ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। ক্যামেরার পাশাপাশি আপৎকালীন পরিস্থিতিতে বাজানোর জন্য অ্যালার্মও থাকছে। এগুলি ধীরে ধীরে বসানো হবে।