ভোটের উত্তাপ গেছে৷ কিন্তু তাতে কী? কমেনি সূর্যের চোখ রাঙানি। রোজই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই টানা দাবদাহেই কার্যত জ্বলছে দেশের একটা বড় অংশ। তবে বিস্তীর্ণ এলাকায় বৃষ্টির অভাব এবং প্রবল গরমে জলস্তর নেমে গিয়ে খরার আশঙ্কা দেখা দিলেও তা মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় জল শক্তিমন্ত্রী গজেন্দ্র সিংহ শেখাওয়াত। তাঁর কথায়, ‘দেশের কোথাও কোনও খরা নেই। সব সংবাদমাধ্যমের বানানো!’
প্রসঙ্গত, গত মাসেই কেন্দ্রের তরফ থেকে খরার আশঙ্কা জানিয়ে সতর্কবার্তা পাঠানো হয় মহারাষ্ট্র, গুজরাত, কর্ণাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু-সহ কয়েকটি রাজ্যকে। কিন্তু এবার দিল্লীতে বসে কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রকের প্রথম বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, ‘উত্তরাখণ্ড ও হিমাচলের বাঁধে পর্যাপ্ত জল ধরা আছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই।’
যদিও ৮ মে রাজ্যগুলিকে পাঠানো কেন্দ্রের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলির জলাধারে জলের পরিমান মোট ক্ষমতার ২২ শতাংশে নেমে এসেছে। আর দু’শতাংশ নামলেই খরা পরিস্থিতি তৈরি হবে। ফলে গতকাল মন্ত্রীর এ হেন উল্টো কথায় অনেকেই বিস্মিত।
জানা গেছে, দেশে ১৪ কোটি পরিবার রয়েছে যেখানে এখনও পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছয়নি। এমনিতেই উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ছত্তিসগঢ়, ঝাড়খণ্ড, উড়িষ্যায় ৫ শতাংশেরও কম পরিবারে নলবাহিত পরিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছয়। তার ওপর এবার খরার সমস্যা। কিন্তু তাতে যে বিন্দুমাত্রও বিচলিত নন কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী, তা তাঁর বক্তব্য থেকেই স্পষ্ট।