মোদী সরকারের বিরোধীতা করায় বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নানা ভাবে হেনস্থা করার চেষ্টা করে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। রাজ্যের নাম বদলে বাধা দেয় এমনকী ফোনে মমতার কথোপকথনও ট্যাপ করে তারা। কীভাবে তিনি এর মোকাবিলা করেন, শ্রীরামপুরের জনসভায় সেই গল্পই শোনালেন মমতা।
শ্রীরামপুরের সভায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রের সব রাগ বাংলার উপর। কারণ নোটবন্দী থেকে শুরু করে কেন্দ্রের বিভিন্ন খারাপ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ তিনি করেছেন। মমতা বলেন, ‘ব্যাঙ্কেও তো বলছিল আধার কার্ড দাও। তার মানে ব্যাঙ্কের সব টাকা তুলে নেবে। ফোনে আধার কার্ড দাও। মানে ফোনে কী কথা বলছেন সব শুনে নেবে। এমনকী স্বামী-স্ত্রী ঘরে কী কথা বলছেন, সব শুনে নেবে।‘ তারপরেই ফোন ট্যাপিংয়ের প্রসঙ্গ তুলে আনেন তিনি। গল্পের ছলে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘ধরুণ আমি হয়তো একে চিনি, তার নাম অবনী। আমি তার নাম কী দিই বলুন তো? তার নাম আমি দিই অনাহুত। ধরুণ আমার একটা খুব পরিচিত মেয়ে আছে। তার নাম আশা। আমি তার নাম দিই ভিক্টোরিয়া। আমি ফোনে এ সব নাম দিই। মাঝে মাঝে নিজেই খুঁজে পাই না নামগুলো। কিন্তু কী করবো? সব তো তুলে নেয়।‘
শুধু ফোনে কথা শোনাই নয়, খাবার থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস আনার কথা বললেও যে তা ট্যাপ করা হয় সে কথাও তুলে আনেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন, ‘ধরুন বলি, ওরে ২ কেজি আলু আনিস, সেটাও তুলে নেবে। ওরে ২ কেজি পটল আনিস, সেটাও তুলে নেবে। বলতে পারছি না একটু সাবান কিনে আনিস। কোলগেট মাজন কিনে আনিস, এটাও বলতে পারছি না। সব টুকছে বসে বসে। সব টুকছে।‘
মমতার অভিযোগ, এই কাজের জন্য কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের ব্যবহার করে মোদী সরকার। তিনি বলেন, ‘এখানে আইবি-র কে একটা আছে। কী যেন ওই ভদ্রলোকের নাম। নামটাও আমি ভুলে গিয়েছি। একদিন এসেছিল আমার কাছে। সব কটা মিলে, ১০টা এজেন্সি গড়ে তুলছে।‘ তারপরেই নিজের প্রসঙ্গ থেকে সাধারণ মানুষের প্রসঙ্গে ফিরে এসে মমতা বলেন, ‘আপনারা ভাববেন না দোকানে গিয়ে ক্রেডিট কার্ডে জিনিস কিনছেন, কেউ কিছু জানতে পারছে না। সব যোগ করছে। কোন দোকানে কত টাকার জিনিস কিনছেন, সব যোগ করছে। এত বদমাশ এরা। মানুষের সব অধিকার কেড়ে নিয়েছে’।