বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার সবটা করে দেখিয়েছেন। প্রচারের আলোতে সামনে থাকার লড়াইতে তিনি কোনও দিনই থাকেন না, বরং তাঁর নিজের মত করে উন্নয়ন করে যান। সেভাবেই ভাঙড়ে ঘটে চলেছে নিঃশব্দ বিপ্লব। প্রশাসনের তরফে আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল, ভাঙড়ে রাস্তার উন্নয়নের কাজ হবে। আর এখন ভাঙড়ে নীরবে–নিঃশব্দে ঘটে চলেছে রাস্তার উন্নয়ন। একের পর এক ভাঙড়ের রাস্তার কাজের সংস্কার করছে পূর্ত দপ্তর। গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের কাজও করা হচ্ছে।
ভাঙড়–২ নং ব্লকের বিডিও কৌশিককুমার মাইতি জানান, ভাঙড়ের ৩ প্রান্তে তিনটি বড় রাস্তার সংস্কারের কাজ চলছে। নবরূপে আত্মপ্রকাশ করবে ওই রাস্তাগুলি। কাজ শুরু করছে পূর্ত দফতর। জোরকদমে রাস্তার কাজ চলছে। জেলা পরিষদ সদস্য নান্নু হোসেন বলেন, “রাজ্যে মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পর ভাঙড়ে উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। ভাঙড়ের বড় রাস্তার পাশাপাশি গ্রামীণ রাস্তার উন্নয়নও করা হচ্ছে। ঝাঁ–চকচকে রাস্তা তৈরি হতে দেখে খুশি ভাঙড়ের মানুষ”।
ভাঙড়ের প্রশাসন সূত্রে খবর, ভাঙড় থেকে লাউহাটি পর্যন্ত ৯১ বাস রুটের দীর্ঘ ১৫ কিমি রাস্তা তৈরি হচ্ছে ৫২ কোটি ৯২ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫৮৪ টাকা খরচে। আগের সেই সেই রাস্তা ভোল পাল্টাচ্ছে। ঝাঁ–চকচকে হাইওয়ের মতো রাস্তা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। যাতায়াত ব্যবস্থা হয়ে উঠছে আগের তুলনায় অনেক বেশি সহজ।
এই রাস্তা তৈরি হয়ে গেলে উপকৃত হবেন ভাঙড়ের কয়েক লক্ষ মানুষ। কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার সঙ্গে যোগাযোগ আরও সহজ হবে। পাশাপাশি ভাঙড়ের পাকাপোল থেকে বোয়ালঘাটা ৯ কিমি রাস্তা প্রায় ২০ কোটি টাকা খরচে ঝাঁ–চকচকে করে তৈরির কাজ চলছে। রাস্তার দু’পাশে পাথর দিয়ে বাঁধিয়ে কোথাও কংক্রিটের ঢালাই আবারও কোথাও পিচ দিয়ে চলছে রাস্তার কাজ। কয়েক মাসের মধ্যেই রাস্তা নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে জানা গেছে। ভোট ঘোষণার আগেই এই কাজের সূচনা হয়েছিল।
অন্যদিকে, বাসন্তী রাজ্য সড়কের ভোজেরহাট বাজার থেকে হাতিশালা পাকাপোল হয় শিখরপুর পর্যন্ত ৯ কিমি রাস্তা ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে এবং শোনপুর থেকে গাবতলা পর্যন্ত বাগজোলা খালপাড়ের ৬ কিমি রাস্তার কাজও খুব শিগগিরই শুরু হবে বলে জানা গেছে।