কথা দিয়ে কথা না রাখা বিজেপির অভ্যাস। গত লোকসভা নির্বাচনে যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি তার কোনও কথাই রাখেনি মোদী শিবির। মোদীর মতই তাঁর সৈনিকেরা। বাবুল সুপ্রিয় সাধারণ মানুষকে যে সমস্ত কাজের কথা বলেছিলেন তা কিচ্ছু করেননি। ভোটের মুখে সাধারণ মানুষ তাঁর কাছে কাজের ফিরিস্তি চাইলে তিনি বলছেন তৃণমূলী গুন্ডা অথবা দালালের তকমা। বারবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছেন আসানসোলের বিদায়ী সংসদ সদস্য বাবুল সুপ্রিয়। এমনটাই অভিযোগ শহরের বাসিন্দাদের।
[Total_Soft_Poll id=”5″]
বাবুল সুপ্রিয়র এহেন আচরণে রীতিমতো ক্ষুব্ধ শহরবাসী। দীর্ঘদিন পর হাতের কাছের পেয়ে কাজরা এলাকার এক মাঝ বয়সি ব্যক্তি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছিলেন এখনও এই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মিটল না কেন? ওই ব্যক্তি হুডখোলা গাড়ির সামনে এগিয়ে এসে একটু ঝাঁঝালো সুরে জবাব চাইতেই, শোরগোল শুরু হয়ে গেল। এরপরেই বিদায়ী সংসদ সদস্য বলে উঠলেন, এভাবে চিৎকার করলে আমি আপনার প্রশ্নের উত্তর দেব না। এতো দেখছি তৃণমূলের দালালের মতো আচরণ করছেন। এই কথায় রীতিমত ক্ষুব্ধ হন উপস্থিত ব্যক্তিরা।
শিবসেনা প্রার্থী বলেন, যারা সম্প্রতি দলে এসে নেতা বা মন্ত্রী হয়ে গিয়েছেন, তাঁদের আচরণ তো এরকম হবেই। অণ্ডালের তৃণমূল নেতা রূপেশ যাদব বলেন, ওঁকে সাধারণ লোকজন প্রশ্ন করলেও তিনি তাঁদের তৃণমূলের দালাল বা তৃণমূলের গুন্ডা বলছেন। কাজরাতে গ্রামবাসীরা ওঁর সামনে পানীয় জলের সঙ্কট নিয়ে সরব হয়েছিলেন। অথচ তিনি এক ব্যক্তিকে সেখানে বলে বসেন তৃণমূলের দালাল।
[Total_Soft_Poll id=”6″]
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়নি। সেসময় শিল্পাঞ্চলে তারা পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু অণ্ডাল, জামুড়িয়ার মতো গ্রামীণ এলাকাগুলিতে এখনও জলের সমস্যা থেকেই গিয়েছে। এছাড়া দুটি বড় কারখানা বিজেপির আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। অপ্রিয় প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে বেশ কয়েকবার তাদের প্রার্থীকে মেজাজ হারাতেও দেখা গিয়েছে। তা নিয়ে গণ্ডগোলও হয়েছে।
[Total_Soft_Poll id=”7″]