[Total_Soft_Poll id=”5″]
সকাল বেলার দমদম স্টেশন আর বোরিভলি স্টেশনের মধ্যে কোনো ফারাক নেই। একের পর এক ট্রেন এসে দাঁড়াচ্ছে, ব্যস্ত মানুষ ট্রেন থেকে নেমে যে যার পথে চলে যাচ্ছেন। কিন্তু গতকাল বোরিভলি স্টেশন চত্বরে যেন এক অন্য সকাল। সাদা ডিজাইনার পালাজো আর কচি কলাপাতায় রাঙানো কুর্তিতে চনমনে উর্মিলা স্টেশন চত্বরে পা দিতেই থমকে গেল ভিড়। ‘রঙ্গিলা’-র হিট নায়িকা হাত নাড়তেই জবাবে উড়ে এল উচ্ছ্বাস। এমনকী ফুল-মালাও। জবাবে সপ্রতিভ নায়িকাও, “আমি উর্মিলা মাতণ্ডকর। এতদিন আমাকে শুধু পর্দায় দেখেছেন। এবার আমি সরাসরি আপনাদের সামনে। কিছু করতে চাই।” উচ্ছ্বাসের জোয়ারে ভাসতে ভাসতেই কলকাতার এই ‘পত্রকার’কে জানিয়ে দিলেন, “বাংলায় লড়াকু টিএমসি নেত্রীর কথা অনেক শুনেছি। সুযোগ পেলেই মমতাদির সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
[Total_Soft_Poll id=”6″]
বোরিভেলির তিন নম্বর প্ল্যাটফর্মের সামনের চত্বরে উর্মিলাকে ঘিরে উচ্ছ্বাস তখন তুঙ্গে। তখনই রব উঠল মোদী মোদী। উর্মিলাকে ঘিরে থমকে যাওয়া কংগ্রেসের নেতা কর্মীরা স্লোগান আরও চড়িয়ে তেড়ে এলেন প্ল্যাটফর্মে। নাছোড় মোদি অনুগামীর দলও। কয়েক সেকেন্ডেই কার্যত ধুন্ধুমার। আরপিএফের বিশাল বাহিনী এসে সামাল দেওয়ার আগেই খুচরো চড়-চাপড়ও চলল ধাক্কাধাক্কিতে। প্রথমে মনে হয়েছিল আরপিএফের তৎপরতায় অচিরেই মিটে যাবে। কিন্তু দু’পক্ষই যে নাছোড়! ততক্ষণে কানাঘুসো ছড়িয়ে গিয়েছে, এ তল্লাটে ছড়িয়ে থাকা গুজরাটের বহু মানুষই বোরিভলি ট্রেনপথে ডেলি প্যাসেঞ্জার। তারাই নাকি কংগ্রেসকে ‘পাঙ্গা’ নিতে মোদির নামে ‘নাড়া’ তুলেছেন। খানিকক্ষণ তো চলল গলাবাজি। একপক্ষ স্লোগান তুললেই চেঁচিয়েই তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা অপর পক্ষের। ভাগ্যিস সময়মতো এসে পড়েছিলেন পুলিশের কর্তারা সময় মতো চলে এসেছিলেন। তবে বাংলার লড়াকু নেত্রীর সঙ্গে দেখা করতে ইচ্ছুক প্রার্থী অভিনেত্রী। জানালেন, মমতাদির কথা অনেক শুনেছি। একবার সুযোগ হলে দেখা করবো।
[Total_Soft_Poll id=”7″]