[Total_Soft_Poll id=”2″]
চলচ্চিত্রের পর্দা মাত করে পাঁচ বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন দেব। মানুষের ভালোবাসা এবং সমর্থনে হয়েছিলেন ঘাটালের সাংসদ। এবারেও ঘাটাল থেকে প্রার্থী তিনিই। নির্বাচনী প্রচারে এবার মানুষ দেখছেন সম্পূর্ণ নতুন এক দেবকে। আগের থেকে অনেক বেশি দক্ষ হয়ে উঠেছেন তিনি। সাংসদে তিনিই প্রথম বাংলাতে বক্তব্য রেখেছিলেন, আসন্ন নির্বাচনে মানুষ যদি ভরসা রাখে তাঁর ওপর তাহলে ফের বাংলাতেই সোচ্চার হতে চান সংসদে।
মঙ্গলবার তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের ডেবরা বিধানসভা এলাকায় বেশ কয়েকটি সভা করেন দেব। সভা থেকে দেব জানালেন, তিনি আদ্যপান্ত বাঙালি। তাই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান থেকে লোয়াদাসেতু, বালিচক রেল উড়ালপুল এসব বিষয় নিয়ে সংসদে বাংলাতেই বলেছেন। আবারও বাংলাতেই সোচ্চার হতে চান তিনি। যারা গত ৫ বছর ধরে দেশ শাসন করেছে তারা যেভাবে ধর্মের ভিত্তিতে, জাতপাতের ভিত্তিতে, বিভেদের রাজনীতিকে কাজে লাগিয়ে ভোটের বৈতরণী পার হতে চাইছেন তা না পসন্দ দেবের।
জনসভায় সকলের উদ্দেশে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ‘আপনারা আওয়াজ তুলুন, কেন উন্নয়নের নিরিখে ভোট হবে না? কেন জাতপাতের, ধর্মের, বিভেদের মাপকাঠিতে ভোট হবে?’ মমতার উন্নয়নের তথ্য তুলে ধরে দেব বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বাংলার প্রতিটি মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। গীতাঞ্জলি প্রকল্পে ৪০ লক্ষ মানুষকে নতুন বাড়ি দিয়েছেন। মাথায় আড়াই লক্ষ কোটি টাকার দেনা নিয়েও উন্নয়নে সব রাজ্যকে ছাপিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলা। সারাদেশে যেখানে এখনও ৩ কোটি বাড়িতে বিদ্যুৎ পৌঁছয়নি সেখানে বাংলায় বিদ্যুৎহীন কোনও বাড়ি নেই।”
[Total_Soft_Poll id=”3″]
সভা থেকে তাঁর বার্তা, ‘রামন্দিরের থেকেও ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, কাঁসাই নদীর ওপর লোয়াদা সেতু, বালিচকে রেল উড়ালপুল বেশি দরকারি। সমাজের সব শ্রেণির মানুষের এত উপকার হবে। বিজেপি–র দেশ শাসনের নীতির সমালোচনা করে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “যে সরকার গরিবের মাথার ওপর ছাদ দিতে পারে না, কৃষকের ফসলের দাম দিতে পারে না, বেকারের হাতে কাজ দিতে পারে না সেই সরকার থেকে লাভ কি?”