[Total_Soft_Poll id=”2″]
অভিযোগ শব্দটা যেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে সবসময়। কোনও না কোনও অভিযোগ সবসময়েই লেগে থাকে তাঁর নামে। ভোটের আবহেও বহাল থাকল সেই ধারা। নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি জারি হওয়ার পর থেকেই ক্রমাগত ভাবে মোদী তথা বিজেপির বিরুদ্ধে তা লঙ্ঘন করার অভিযোগ জমা পড়ে চলেছে কমিশনে। যদিও মোদীর তাতে থোড়াই কেয়ার।
নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল নির্বাচনী প্রচারে কোনও দল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও কীর্তি, কার্যকলাপ এবং ছবি তাদের প্রচারে ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে চলেছে বিজেপি বারংবার। গত মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মহারাষ্ট্রে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে জনসভায় ফের সেনাবাহিনীর নাম করে সমর্থন দাবি করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা। নির্বাচনী জনসভার ভাষণে নরেন্দ্র মোদী প্রথমবার যাঁরা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তাঁরা যেন তাঁদের ভোটটি সেনাবাহিনীর বীরত্বের কথা মনে রেখে দেন।
সরাসরি না বললেও বিজেপিকে ভোট দেওযা মানে সেনাবাহিনীকে সমর্থন করা এমন একটি বক্তব্য তিনি যে প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন সেটা নিয়ে বিশেষ সন্দেহের অবকাশ নেই। বিষয়টির প্রতি নির্বাচন কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে মহারষ্ট্রের মুখ্য নির্বাচনী কমিশনার এই ব্যাপারে দ্রুত রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
গত ১৯ মার্চ নির্বাচন কমিশন থেকে প্রচারিত নির্বাচনী নিয়মাবিধিতে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ করে দেওয়া হয়, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনও দল বা প্রার্থী তাঁদের নির্বাচনী প্রচারে সময় যেন সেনাবাহিনীকে তাদের প্রচারে জড়িত করার প্রচেষ্টা থেকে বিরত থাকে। কিন্তু নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে,বিজেপির এই নিয়ম লঙ্ঘন ততই বেড়ে চলেছে। সেনাবাহিনীকে সামনে রেখে মোদী এর আগেও বেশ কিছুবার প্রচার করেছেন। মোদির বিরুদ্ধে বিধি ভঙ্গের অভিযোগ এনেছিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল। গত ৬ এপ্রিল রাজ্যের বালোদ জেলায় সভা করে সেনাবাহিনী এবং সার্জিক্যাল স্ট্রাইক নিয়ে মন্তব্য করে তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন বলে অভিযোগ।