[Total_Soft_Poll id=”2″]
গত মাসেই দলের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ জানিয়ে দিয়েছিলেন ভোটে জিততে কোনও নীতি-আদর্শের তোয়াক্কা করবেন না তাঁরা। সেই মতো রাজনৈতিক সৌহার্দ্যতা ও যাবতীয় নীতি-আদর্শকে জলাঞ্জলি দিয়েই ভোটযুদ্ধ নেমে পড়েছে বিজেপি। এবার প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আত্মসাতে অভিযুক্ত নেতাকে পাশে নিয়ে বসিরহাটে রোড শো করলেন বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন বসু। শুধু বসিরহাটে নয়, সন্দেশখালিতেও সায়ন্তনের পাশে ছিলেন অভিযুক্ত বিকাশ সিংহ। বিকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর পাইয়ে দেওয়ার নাম করে গরিব মানুষের কাছ থেকে আবেদনের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, বিকাশ যখন বিজেপির বসিরহাট সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ছিলেন। সেই সময়ই বসিরহাট রবীন্দ্র ভবনে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে এক কর্মিসভায় তাঁর বিরুদ্ধে সরব হন দলের নেতা ও কর্মীরা। এমনকি মঞ্চ থেকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে নামিয়েও দেওয়া হয় বিকাশকে। ওই আর্থিক কেলেঙ্কারি সামনে আসার পর পরই দলের জেলা সভাপতির পদ খোয়াতে হয় বিকাশকে। এরপর তিনি বেশ কিছুদিনের জন্য গা ঢাকা দেন। তবে তাঁর খোঁজ পাওয়ার পর পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। জেল হয় এই বিজেপি নেতার। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ চার্জশিট দাখিল করেছে।
সেই বিকাশকেই মঙ্গলবার বসিরহাট শহরে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে প্রচারে অংশ নিতে দেখা যায়।
গতকাল বসিরহাট টাউন হল থেকে রোড শো করেন বিজেপি প্রার্থী। প্রান্তিক মাঠ পর্যন্ত পায়ে হেঁটে মিছিল করে যান সায়ন্তন। রাস্তার পাশের দোকানদার, পথ চলতি মানুষের সঙ্গে হাত মেলান। তখন তাঁর পাশে ছিলেন বিকাশ। আর্থিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত জেল ফেরত একজনকে নিয়ে প্রচারে বের হওয়া প্রসঙ্গে অবশ্য কোনও মন্তব্য করেননি বিজেপি প্রার্থী সায়ন্তন। তবে এই ঘটনায় গেরুয়া শিবিরকে একদিকে যেমন শাসক দলের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে, তেমনি ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরাও। শুধু তাই নয়, দলীয় প্রার্থীর ওপর গোঁসা করে অংশ কার্যত বসেই গিয়েছেন দলের একটা বড় অংশ।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
উল্লেখ্য, ভোট প্রচারে বেরিয়ে প্রথম দিনেই বসিরহাটের ভ্যাবলায় প্রকাশ্য সভায় সায়ন্তন বলেছিলেন, ‘বুথ দখল করতে এলে সিআরপিএফ যেন বুক লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ডাব কাটা দা দিয়ে যেন সাবাড় করে দেয়।’ যা নিয়ে প্রথম থেকেই ক্ষুব্ধ ছিলেন জেলার বিজেপি কর্মীরা। কারণ যে ভাষায় প্রার্থী কথা বলেছেন, তার ফলে তাঁদেরই মুখ পুড়েছে। আর গতকাল সায়ন্তন এক জেল ফেরত আসামীকে সঙ্গে ভোট প্রচারে বের হওয়ায়, আরও চটেছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, দল যাঁকে প্রার্থী করেছে, তিনি বড় নেতা হতে পারেন, কিন্তু কর্মীদের কোনও মর্যাদা দেন না। নিজেকে সুন্দরবনের বাঘ মনে করছেন তিনি।