[Total_Soft_Poll id=”2″]
নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশ ছিল নির্বাচনী প্রচারে কোনও দল ভারতীয় সেনাবাহিনীর কোনও কীর্তি, কার্যকলাপ এবং ছবি, সরকারি সম্পত্তি তাদের প্রচারে ব্যবহার করতে পারবে না। কিন্তু বাস্তবে সেই নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে চলেছে বিজেপি বারংবার। ভারতীয় রেল সরকারি সম্পত্তি। নির্বাচন কমিশনের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সেই ট্রেনকেই প্রচারের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালেন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি বিধায়ক প্রবীর ঘোষাল।
প্রবীরবাবু মঙ্গলবার অভিযোগ করে বলেন, “গত ২২ দিন ধরে বৈঁচি স্টেশনে দাঁড় করিয়ে রাখা রয়েছে কুম্ভ এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি কম্পার্টমেন্ট। প্রত্যেকটি কোচের গায়ে বিজেপির নির্বাচনী প্রতীক চিহ্ন এবং প্রধানমন্ত্রী–সহ এনডিএ জোটের একাধিক নেতার ছবি দেওয়া পোস্টার লাগানো রয়েছে। বিজেপির ঔদ্ধত্য চরমে পৌঁছেছে।”
এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, নির্বাচনবিধি সম্পর্কে জানা নেই বলে বিতর্ক এড়িয়েছেন হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। বলেছেন, ‘রেল কোথায় ট্রেনের বগি রাখবে সেটা রেলের বিষয়।’ বিষয়টি খোঁজ নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী।
[Total_Soft_Poll id=”3″]
নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধির অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে এই প্রথম নয়। নির্বাচন বিধি জারি হওয়ার পর থেকেই বারংবার তা লঙ্ঘন করে চলেছে মোদী শিবির। কখনও সেনাবাহিনী নিয়ে প্রচার, কখনও অনুমতি ছাড়া সভা ইত্যাদি নানা কারণে অভিযোগ বিদ্ধ হয়ে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে তাকে পাত্তা না দিয়ে একের পর এক ভুল করেই চলেছে বিজেপি।