কিছুদিন আগেই প্রয়াত হয়েছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের বড়মা বীণাপানি দেবী। সেই শোকের আবহেই বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে ঘোষিত হয়েছে মমতাবালা ঠাকুরের নাম। মতুয়ারা এখনও বড়মার মৃত্যুতে শোকে কাতর। ঠাকুরবাড়িতে তাই শোকাতুর মতুয়াদের মা হয়ে উঠছেন মমতাবালা।
বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরের অবর্তমানে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি আয়োজিত বারুণির মেলা এবং কামনাসাগরে পুণ্যস্নানের অনুষ্ঠান সামলালেন বড়মার বড় বউমা মমতাবালা ঠাকুর। মধুকৃষ্ণা ত্রয়োদশী উপলক্ষে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে ওঠেন নিজেদের ধর্মীয় উৎসবে। বাংলাদেশের ওড়াকান্দিতে যে উৎসবের সূচনা, সেই উৎসবই দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায়। পূর্ণ লাভ এবং মনস্কামনা পূরণের আশায় এই তিথিতে ঠাকুরবাড়ির কামনাসাগরে ডুব দেন মতুয়া ভক্তরা। তার পর তাঁরা পাশের নাটমন্দিরে হরিচাঁদ–গুরুচাঁদ ঠাকুরের মূর্তিতে প্রণাম করেন। বড়মা বীণাপাণি ঠাকুরকে মতুয়া ভক্তরা জীবন্ত দেবতাজ্ঞানে পূজো করেন। আর তাই উৎসব উপলক্ষে দেশ–বিদেশ থেকে ঠাকুরবাড়িতে আসা মতুয়া ভক্তরা বড়মার আশীর্বাদ না নিয়ে ফিরতেন না।
নিজের ঘরের সামনের বারান্দায় বসে এতদিন ধরে মতুয়া ভক্তদের সেই আবদার মেটাতেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের প্রধান উপদেষ্টা বড়মা বীণাপাণি ঠাকুর। এবারই প্রথম, যেখানে মতুয়া সম্প্রদায়ের এই অনুষ্ঠানে বড়মা নেই। তাঁর জায়গায় এবার সেই দায়িত্ব এবং আবদার মেটালেন বড়মার সেই পদের দায়িত্বে থাকা ঠাকুরবাড়ির বড় বউমা মমতাবালা ঠাকুর। গোটা দিন ধরে অগণিত ভক্তদের আবদার মেটালেন।
এবারও বাংলাদেশ থেকে মতুয়া ভক্তরা ঠাকুরবাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। অনুষ্ঠান উপলক্ষে এবারও ঠাকুরবাড়ি সংলগ্ন মাঠে মেলার আয়োজন হয়েছে। এক মা-কে হারিয়েছেন মতুয়ারা, তাই আরেক মা তাঁদের টেনে নিলেন তাঁর স্নেহের আঁচলের তলায়।