আগে ঠিক ছিল ৪ তারিখ অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যজুড়ে প্রচার শুরু করবেন তিনি। কিন্তু বাংলায় প্রচারে আসা নরেন্দ্র মোদীকে পাল্টা দিতে আজ ৩ তারিখই মাঠে নামছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন উত্তরবঙ্গ থেকে তিনি নির্বাচনের প্রচার শুরু করছেন। আজকের সভা দিনহাটার সংহতি ময়দানে। এই সফরে আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের পাশাপাশি আসামের ধুবড়িতেও দলের প্রার্থীদের সমর্থনে সভা করার কথা রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর।
তৃণমূলের প্রার্থী পরেশ অধিকারীর সমর্থনে দিনহাটার সভা ঘিরে মঙ্গলবার কোচবিহারে প্রশাসন ও তৃণমূল শিবিরে তৎপরতা তুঙ্গে ছিল। মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল পরিদর্শন করেন তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ-সহ অন্যান্য নেতারা। বৃহস্পতিবার মাথাভাঙা কলেজ মোড় লাগোয়া এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর জনসভা হবে। এছাড়া ৮ এপ্রিল কোচবিহার রাসমেলা ময়দানেও একটি সভা করার কথা রয়েছে তাঁর। প্রতিটি সভাতেই বিপুল জনসমাগম হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
ইতিমধ্যেই কোচবিহারে তৃণমূলের প্রচারে মানুষের ঢল নেমেছে। প্রার্থী যেখানেই যাচ্ছেন, মানুষ দু’হাত তুলে তাঁকে সমর্থন করছেন। আর এবার মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরকে কেন্দ্র করে তুমুল উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে কোচবিহারের তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার পর মানুষের সমর্থন আরও বাড়বে বলে আশা তৃণমূল শিবিরের। ইতিমধ্যেই সভাস্থলের পাশের হেলিপ্যাডের এয়ার ট্রায়াল হয়ে গেছে। পরীক্ষামূলক ভাবে একটি কপ্টার হেলিপ্যাডে নামে।
গতকাল সভাস্থলে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকেরা ছাড়াও ছিলেন কোচবিহার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইন্দ্রজিৎ সরকার, মাথাভাঙার এসডিপিও শুভেন্দু মণ্ডল, আইসি প্রদীপ সরকার, দমকল ও পূর্ত দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি তৃণমূলের নেতারাও। প্রত্যেকেই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুঁটিয়ে দেখেন। অন্যান্য জেলাতেও সফরকে ঘিরে তৎপরতা তুঙ্গে। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গ জুড়েই মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারসূচিকে কেন্দ্র করে সাজো-সাজো রব। আজ তিনি কী বার্তা দেন, বিজেপির বিরুদ্ধেই বা কী ভাষায় আক্রমণ শানান, সেদিকেই চোখ থাকবে রাজ্য রাজনীতির।