দিনরাত এক প্রচার করছেন আসানসোলের তৃণমূল প্রার্থী অভিনেত্রী মুনমুন সেন। তাঁর প্রতিটি সভাতেই মানুষের ঢল নামছে। দূর–দূরান্ত থেকে মানুষ আসছেন একবারটি মুনমুনকে দেখতে। সব সভাতেই ভোটারদের মূল আকর্ষণ মুনমুন। গতকাল রানিগঞ্জ লাগোয়া বল্লবপুর, নুপুর, বক্তারনগর, শিশুবাগান, হিলবস্তি, মহাবীর কোলিয়ারি–সহ বিভিন্ন এলাকায় সভা করেন মুনমুন। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়, ভি শিবদাসন দাশু–সহ ব্লক নেতৃত্ব। সভামঞ্চ থেকেই বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন বাঁকুড়ার বিদায়ী সাংসদ।
আসানসোল উত্তরের বকবন্দি এলাকায় প্রচারে গিয়ে বিজেপি–কে একহাত নিলেন তৃণমূল প্রার্থী মুনমুন সেন৷ বিজেপি–র তীব্র সমালোচনা করে মুনমুন বলেন, ‘বাঙালির সংস্কৃতি না জেনেই একদল লোক গেরুয়া ও রুদ্রাক্ষ পরে বাঙালির ধর্মাচরণ নিয়ে কথা বলে৷ তারা বলে বাঙালি ঈশ্বর, ভগবান মানে না৷ অথচ আমরা সকলে জানি এই বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে সকলের সঙ্গে সহাবস্থান বজায় রেখে আমরা আমাদের সন্তানদের লালনপালন করি। বড় করে তুলি৷ আমি এসেছি সকলের সঙ্গে কাজ করতে৷’ তিনি কর্মীদের বলেন, ‘ভোট দেওয়ার সময় প্রতীক চিহ্নের ফুল নিয়ে যেন কোনও সন্দেহ না থাকে৷ জোড়াফুলই আপনাদের একমাত্র আস্থা এবং ভরসার প্রতীক৷’
তিনি জানান, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি এলাকার মানুষের তীব্র ক্ষোভ রয়েছে। কেন বার্ন স্ট্যান্ডার্ড, হিন্দুস্থান কেব্লস ছাড়াও ২৫টি খনি বন্ধ করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার? বেকার হয়েছেন প্রচুর শ্রমিক। অথচ তার প্রতিবাদে প্রশ্ন তোলেননি বিদায়ী সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। এই নিয়ে এখানকার মানুষ বিরক্ত। প্রতিটি সভায় কেন্দ্রের ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরেন মুনমুন।
আচমকাই প্রচারের সময় বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে, ছাতা মাথায় দিয়ে এলাকায় এলাকায় প্রচার সারেন মনুমুন। উন্নয়ন নিয়ে ভোটারদের তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচ বছরে এই সব এলাকার কোনও উন্নতি হয়নি। সেই জন্য এবার তৃণমুলের ঘাসফুল চিহ্নে ভোট দিন। দিদির মতো আমিও এই এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে চাই। তাই ভোট দিয়ে আমাকে সেই কাজ করার সুযোগ করে দিন।’
সভা মঞ্চ থেকে মুনমুন বলেন, ‘সিপিএম বাঁকুড়াতে গত ৩৪ বছর কোনও কাজ করেনি। যা কাজ করেছেন আমাদের দিদি। আমিও আপনাদের সঙ্গে থেকে আরও কাজ করতে চাই। আমি ভোট ভিক্ষা চাইছি। ভালবাসা দিয়ে সকলকে কাছে টেনে নিন। একদম ঝগড়া নয়, সকলকে আপন করে ভোট চেয়ে নিন। মমতা দিদির উন্নয়নের সঙ্গে আমরা সকলে আছি। বিজেপি–র কথায় কান দেবেন না।’