প্রথম থেকেই প্রচারে ঝড় তুলছে তৃণমূল। জোরকদমে চলছে দেওয়াল লিখন, সভা, কর্মীসমাবেশ, মিছিল। নাম ঘোষণা হতেই প্রচারে নেমে পড়েছিলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। আর শুরুর দিন থেকেই প্রচারে নজর কাড়ছেন তিনি।মহুয়া জানালেন, মানুষের কাছে পৌঁছতে গেলে ছুটতে হবেই।
প্রচারে একদিনে চার–পাঁচটি অঞ্চল কভার করছেন। সকালের দিকে দূরবর্তী এলাকায় প্রচার করছেন। আর বিকেলের দিকে কৃষ্ণনগরের কাছাকাছি এলাকায় প্রচার সারছেন। তৃণমূল স্তরের অর্থাৎ বুথ স্তরের সমস্ত তৃণমূল কর্মীকেই এই নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল করতে চান বলে মহুয়া মৈত্র জানিয়েছিলেন, প্রার্থী হওয়ার পর প্রথমবার কৃষ্ণনগরে পা দিয়েই। কাজ করতে গিয়েও তাই করছেন তিনি।
নির্বাচনী প্রচারের গতিতে ইতিমধ্যেই বিরোধীদের হারিয়ে দিয়েছেন মহুয়া। প্রচারের সময় যে গতিতে রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, তাতে সঙ্গী স্থানীয় নেতারাও অনেক সময় তাঁর সঙ্গে পা মেলাতে পারছেন না। প্রচারসঙ্গীরা জানালেন, তিনি তো হাঁটেন না, যেন দৌড়ন। যদিও এই গতির ফলে বেশ সুবিধা পাচ্ছেন তিনি। সাধারণভাবে একটা লোকসভা কেন্দ্র সাতটি বিধানসভা কেন্দ্রের সমান। তাই সেখানে প্রচার চালাতে গেলে গতির দরকার খুব বেশি। আর তাই মহুয়া এখানে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছেন। বুধবার সকালে নাকাশিপাড়ার বিল্বগ্রাম পঞ্চায়েতে প্রচার করেন তিনি। বিল্বগ্রামের যুগপুর থেকে তিনি প্রচার শুরু করেন। প্রথমে পায়ে হেঁটে স্থানীয় বাজার ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় প্রচার সারেন। তার পর প্রচারের গাড়িতে উঠে রোড শো করেন। মাঝে মাঝে গাড়ি থেকে নেমে বিভিন্ন গ্রামে হেঁটে প্রচার করেন তিনি।