দোল মানেই রঙিন হয়ে ওঠার দিন। আবিরে-রঙ্গে চারপাশ হয়ে ওঠে মনমোহিনী।দোলের রঙ্গে মেতে উঠলেন ভোটের প্রার্থীরাও। কোথাও রঙের সঙ্গে চলল জনসংযোগ কোথাও বা প্রচার।
দোলে তারাপীঠে উৎসবে মাতলেন বীরভূমের তৃণমূল প্রার্থী শতাব্দী রায়। শ্রীরামপুরে তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রঙ খেলার পাশাপাশি দলের কর্মীদের সঙ্গে পা-ও মেলালেন। একই চিত্র দেখা গেল দমদমেও। প্রার্থী সৌগত রায় আবির ভাগ করে নিলেন সকলের সঙ্গে।
একদিকে দোলে রাজনৈতিক সৌজন্য দেখা গেল শিলিগুড়িতে, অন্যদিকে পৃথকভাবে দোল খেললেন মালদার কোতোয়ালির গনি পরিবারের দুই সদস্য। মালদা উত্তর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী গনি পরিবারের সদস্য মৌসম বেনজির নুর। ওই কেন্দ্রেরই কংগ্রেস প্রার্থী মৌসমের ভাই ঈশা খান চৌধুরি রং খেলায় শামিল হলেন আলাদাভাবে। পাশাপাশি চলল জনসংযোগ। ‘বসন্তোৎসব প্রতি বছরই উপভোগ করি’, বললেন মৌসম বনজির নুর। ঈশা খান চৌধুরি বলেন, ‘এই রঙের উৎসব আমাদের সংস্কৃতি, যে সংস্কৃতি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিলিয়ে দেয় আমাদের।’
কলকাতার পঞ্চান্ন গ্রাম, টেগোর পার্ক, পিকনিক গার্ডেন এলাকায় রং খেলায় মাতলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল প্রার্থী মালা রায়। সঙ্গে চলল মানুষের সঙ্গে কথাবার্তা। ব্যারাকপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদীও রং খেলায় শামিল হলেন। সাধারণ মানুষ এবং দলের কর্মীরা সবাই মিলেমিশে রং খেলায় অংশ নিয়েছেন বলে জানান দীনেশ।
শ্রীভূমিতে রং খেলায় যোগ দিলেন দমকল মন্ত্রী ও বিধায়ক সুজিত বসু। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়। তিনি জানান, দোলের আগের দিন বসন্ত উৎসব হয়েছে। বৃহস্পতিবার দোলের উৎসব হচ্ছে। বাঙালি যেমন আছেন, হিন্দি ভাষাভাষীর মানুষও অনেক রয়েছেন। মিলেমিশে রং খেলা হচ্ছে। আমাদের দল সারা বছর মানুষের সঙ্গে থাকে। গান গাইতেও দেখা যায় তাঁকে। শুধু প্রার্থীরাই নন, রং খেলা থেকে নিজেদের সরিয়ে রাখেননি মন্ত্রীরাও। চেতলায় নিজের প্রতিবেশীদের সঙ্গে রং খেলায় মাতলেন পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি এদিন বলেন, ‘আমরা ছোট বড়, বন্ধু, প্রতিবেশীদের সঙ্গে প্রত্যেক বছর রঙের উৎসব পালন করি। একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করি এদিন। সব রং এদিন এক হয়ে যায়। এটাই আমাদের পরম্পরা, আমাদের সংস্কৃতি। নির্বাচন আসবে, নির্বাচন যাবে। কিন্তু আমাদের উৎসব আমাদের থাকবে।’