নেকড়ের আতঙ্কে দিশেহারা ঝাড়গ্রাম। এই গ্রামে যে হাতির আনাগোনা আছে সেকথা নতুন নয়। কিন্তু এবার নেকড়ের হামলা। ইতিমধ্যেই ৭ জন গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালিয়েছে নেকড়ে। তাকে ধরতে তৎপর বনদফতরের কমীরা। পাতা হয়েছে তিনটি খাঁচা। কিন্তু নেকড়ে এখনো অধরাই।
গত কয়েকদিন ধরে ঝাড়গ্রামের সাপধরা অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে নেকড়ে হানা দিচ্ছে বলে খবর রাতের ঘুম ছুটেছে গ্রামবাসীদের। প্রথম নেকড়ের আক্রমণের খবর আসে শিমুলডাঙা গ্রাম থেকে। উঠোন ঝাড় দেওয়ার সময় মালিনি মাহাতো নামে গ্রামের এক বাসিন্দা নেকড়ের মুখে পড়েন। ওই নেকড়েটি মাসাংডির জঙ্গল থেকে এসেছিল বলে মনে করছেন বনকর্মীরা। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আক্রান্ত হন তাঁর আত্মীয় ধীরেন মাহাতও। তাঁকেও কামড় দেয় নেকড়েটি।
এরপর কুন্ডলডি, ডোলকাট, ধোবাধবিন, রাজপাড়া, দুবরাজপুর লাগোয়া জঙ্গলে ঘুরে বেড়াচ্ছে নেকড়েটি। দু’দিন আগে কুন্ডলডিতে বকুল মাহাত নামে আরও একজনকে আক্রমণ করে। পশরো গ্রামেও আহত হন একজন। আহতদের ঝাড়গ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মালিনির অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে মেদিনীপুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসবরাজ হলৈচের নেতৃত্বে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চলছে। কয়েকটি এলাকায় নেকড়ের পায়ের ছাপ পাওয়া গিয়েছে। নেকড়ে ধরতে বনদফতর তরফে তিনটি খাঁচা পাঠানো হয়েছে গিয়েছে। প্রয়োজনে আরো খাঁচা পাঠানোর কথা জানিয়েছে বনদফতর।