শুরু হয়ে গেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন করার উদ্দেশ্যে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতিকে নির্দেশ দিলেন, কোনও শিক্ষার্থীর কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে তাঁর পরীক্ষা বাতিল করে দিতে। বাংলা এবং ইংরেজি এই দুই বিষয়ের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। তৎক্ষণাৎ সমস্ত কেন্দ্রে তল্লাশি চালানো হয়। এই ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে তাই এমন কড়া নির্দেশ দিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র বাইরে ছড়িয়ে দেওয়াকে পরীক্ষা বানচালের ছক হিসেবেই দেখছেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের অহেতুক অতি সক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। সেই সঙ্গে সুষ্ঠু ভাবে মাধ্যমিক পরীক্ষা সম্পন্ন করতে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের নির্দেশ দিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্রছাত্রী ও পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কেউ যদি কোনও ইলেকট্রনিক গেজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকে ও ধরা পড়ে, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তবে পরীক্ষা শুরুর পর প্রশ্নপত্র বাইরে আসাকে শিক্ষামন্ত্রী প্রশ্ন ফাঁস হিসেবে মানতে চাননি। তিনি জানান, ‘প্রশ্নপত্র কঠিনও নয়। টোকাটুকিও হচ্ছে না। শিক্ষাকে আমরা ‘ছোট’ করে দিচ্ছি।’
সেই সঙ্গে পরীক্ষায় নজরদারির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের প্রতিও হুঁশিয়ারি দিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘কেউই তাঁর দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না।’ প্রসঙ্গত, পর্ষদের নিয়ম মেনে পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব থাকা পাঁচজন সর্বক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করতে পারেন। তাঁর মধ্যে রয়েছেন-ভেন্যু সুপারভাইজার, ভেন্যু ইনচার্জ (সরকারি আধিকারিক), অতিরিক্ত ভেন্যু সুপারভাইজার, সেন্টার সেক্রেটারি এবং সেন্টার ইনচার্জ।
পর্ষদ এ বারই প্রথম পরীক্ষাকেন্দ্রের দায়িত্ব সরকারি আধিকারিকদের হাতেই দায়িত্ব ন্যস্ত করেছে। প্রধান শিক্ষকের বদলে পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট খোলা, মোবাইল ফোন থেকে অতিরিক্ত প্রশ্নপত্র সব কিছুই তাঁদের কাছে জমা রাখছেন শিক্ষক –শিক্ষিকারা।