দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। আর ভোটের আগেই সাধারণত সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় একাধিক ‘ভুয়ো’ খবরে। তাই লোকসভার আগে তাদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ‘ভুয়ো’ খবরের প্রচার যথাসম্ভব রুখতে এবার বাইরের ‘নজরদার’ সংস্থা নিয়োগ করলেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। বাড়ানো হল যে যে ভাষার পোস্টের ওপর নজরদারি চালানো হবে তার সংখ্যাও। এ বিষয়ে গত বছর এপ্রিল মাসেই ‘বুম’ এবং নিউজ এজেন্সি ‘এএফপি’র সঙ্গে চুক্তি করেছিল ফেসবুক। যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল ফেসবুক ওয়ালে ‘ভুয়ো’ এবং ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে স্পর্শকাতর’ পোস্টকে চিহ্নিত করার।
এর পাশাপাশি এবার ইন্ডিয়া টুডে-র মতো নামী সংবাদ সংস্থা, ফ্যাক্টলি, নিউজ মোবাইল, ফ্যাক্ট ক্রেসেন্ডো এবং বিভাস(.)নিউজ এর মতো ৫ সংস্থাকে ভুয়ো খবর নির্ণয়ের কাজে নিয়োগ করলেন ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক ইন্ডিয়ার নিউজ পার্টনারশিপ বিভাগের প্রধান মণীশ খান্দুরি জানিয়েছেন, ওই পাঁচটি সংস্থার আধিকারিকদের কাজে লাগানোর আগে ‘ভুয়ো’ খবর বাছার বিষয়ে বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ফেসবুক এবং সেই সংস্থার বাইরের তৃতীয় পক্ষ বিশেষজ্ঞ আন্তর্জাতিক সংস্থার থেকে। তাদের শংসাপত্র মেলার পরেই তাদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি জানান, সবক’টি সংস্থাকেই এই কাজে ব্যবহারের জন্য বিশেষ ভাবে প্রস্তুত সফটওয়্যার প্রোগ্রাম ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়েছে। এদের সাহায্যে ফেসবুক ওয়ালে ‘পোস্ট হওয়া সমস্ত খবর পরীক্ষা করবে সংস্থাগুলি। খুঁটিয়ে দেখা হবে তার বিশ্বাসযোগ্যতা এবং সততা। এই সংস্থাগুলির থেকে খারাপ রেটিং হলে সংশ্লিষ্ট খবর ফেসবুক ইউজারদের নিউজ ফিডের একেবারে শেষে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। যা সেই খবরের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ৮০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেবে।
মণীশ আরও জানান, একাধিকবার ‘ভুয়ো’ খবর পোস্ট করলে ওয়েব পেজ এবং ওয়েবসাইটগুলিকে ফেসবুক বিজ্ঞাপন দেওয়া এবং তার থেকে আয় এর পথ বন্ধ করে দেওয়া হবে। ভুয়ো খবর পোস্ট করলে তার নিচে সেই পোস্ট সংক্রান্ত ভুল, তথ্য গত ত্রুটি উল্লেখ-সহ নিজস্ব মতামত লিখে পোস্ট করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই নজরদারি সংস্থাগুলিকে। যার থেকে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা তা দেখতে পারবেন। প্রাথমিক ভাবে ইংরেজি, হিন্দি, বাংলা, তেলুগু, মালয়ালম এবং মারাঠি ভাষায় হওয়া পোস্টের ওপর নজরদারি চালানোর কাজ শুরু হচ্ছে শীঘ্রই।