কোচ বদলেও আই লিগ ডার্বির ভাগ্য বদলাল না মোহনবাগানের। ডার্বিতে প্রতীক্ষিত জয় এবারেও পেলেন না খালিদ জামিল। যুবভারতীতে রবিবার জ্বলল লাল হলুদ মশাল। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহনবাগানকে হারিয়ে লিগ জয়ের লড়াইয়ে ফিরে এল ইস্টবেঙ্গল। অন্যদিকে, এই ম্যাচে হারের ফলে লিগের লড়াই থেকে কার্যত ছিটকে গেল মোহনবাগান। এর আগে ইস্টবেঙ্গলের কোচ থাকাকালীন কখনও ডার্বি জেতেননি খালিদ। মোহনবাগানের দায়িত্ব নিয়েও সেই জয় অধরাই রয়ে গেল।
এবার ২-০ গোলে। জবি জাস্টিন গোল করলেন আবার করালেনও। তিনিই ম্যাচের সেরা। আই লিগে আট গোল হয়ে গেল তাঁর। আই লিগের প্রথম ডার্বি জিতে নিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। দ্বিতীয় ডার্বিও লেখা থাকল ইস্টবেঙ্গলেরই নামে। পৌঁছে আই লিগের অনেকটা কাছে। এটাই এখন ধরে রাখা ইস্টবেঙ্গলের জন্য সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ।
দুই দলই শুরু থেকে কিছুটা ছন্নছাড়া ছিল। বার বার গোলের কাছে পৌঁছে গিয়েও খেই হারাচ্ছিল ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান। তার মধ্যেই গোলের মুখ খুলে ফেলল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান রক্ষণের ভুল বোঝাবুঝির সুযোগটা দারুণভাবে নিলেন জবি আর সান্টোস। ডানদিক থেকে ক্রস বাড়িয়েছিলেন জবি। সেই বল ধরে গুরজিন্দরকে কাটিয়ে বল গোলে ঠেলেন সান্টোস। ৩৫ মিনিটে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে খেলায় ফেরার চেষ্টায় প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে মোহনবাগান, যার ফল ৫১ মিনিটেই গোলের মুখ খুলে ফেলেছিল সুবজ-মেরুন ব্রিগেড। দীপান্দা ডিকার হেড ক্রসবারে লেগে ফিরলে জটলার মধ্যে থেকে সেই বলই গোলে পাঠান ড্যারেন কালদেইরা। বাতিল হয় সেই গোল। গোল বাতিলের কারণ নিয়ে যদিও সংশয় রয়েছে। প্রথম ডার্বিতে রেফারির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল মোহনবাগান। এ বারও না জিততে পারলে এই গোল বাতিল নিয়ে রেফারির দিকে আঙুল উঠবে নিশ্চিত।
রবিবার আই লিগের দ্বিতীয় ডার্বি হালকা উত্তেজনায় বার কয়েক থামাতে বাধ্য হলেন রেফারি। এটা কখনও মাঠের মধ্যের প্লেয়ারদের ঝামেলা তো কখনও কোচের সঙ্গে লাইন্সম্যানের কথা কাটাকাটি। কখনও আবার রিজার্ভ বেঞ্চের প্লেয়ারের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া। তার মধ্যেই জয়ের ঝান্ডা ওড়াল ইস্টবেঙ্গল।
দ্বিতীয় গোলটি এল জবি জাস্টিনের পা থেকে। লালরিনডিকা রালতের মাপা কর্ণার থেকে ছোট্ট লাফিয়ে জবি জাস্টিনের হেড। জবির সামনে ছিলেন দীপান্দা ডিকা। তাঁর মাথার উপর দিয়েই জবির হেড চলে যায় গোলে দ্বিতীয় পোস্টের গা ঘেঁষে। মোহনবাগান গোলকিপার শিলটন পাল তখন প্রথম পোস্টে দাঁড়িয়ে। কিছুই করার ছিল না। আর এখানেই শেষ হয়ে গেল খেলা। এখান থেকে ফেরাটা সম্ভব ছিল না মোহনবাগানের। পুরো ম্যাচে সেই লড়াইটাই খুঁজে পাওয়া গেল না। ব্যর্থতার দায় যে শঙ্করলালের ছিল না তা কিন্তু প্রমাণ হয়ে গেল।
জিতে লিগ তালিকার তিন নম্বরে উঠে এল ইস্টবেঙ্গল। মোহনবাগান থেকে গেল ছ’নম্বরেই। ১৫ বছর পর আইলিগের দুটি ডার্বিই জিতল লাল হলুদ শিবির।