সিবিআই প্রধানের পদ থেকে অলোক বর্মাকে সরানো নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বিরোধীদের তরফ থেকে একের পর এক আক্রমণ তো ছিলই। আর এবার সিবিআই গৃহযুদ্ধের আঁচ এসে পড়ল বিজেপির অন্দরেই। মোদীর মাথাব্যথা বাড়িয়ে অলোক বর্মার অপসারণ নিয়ে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। অপসারিত সিবিআই ডিরেক্টরের পাশে দাঁড়িয়ে স্বামীর দাবি, ‘অন্যায়’ করা হয়েছে বর্মার সঙ্গে।
সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি একে পট্টনায়েকের সুরে সুর মিলিয়ে তিনি বলেছেন, এই ক্ষেত্রে কোনও বিচার হয়নি, যা হয়েছে সেটা প্রাথমিক অনুমানের ভিত্তিতে। বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা শনিবার বলেন, আলোক ভার্মাকে সরানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সিলেক্ট কমিটি (সিভিসি)-র নেওয়া, যা সরাসরি ‘অন্যায়’। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিটির তদন্ত শুরু হওয়ার আগে উচিৎ ছিল ভার্মাকে ডেকে তাঁর পক্ষ শোনা।
এক বেসরকারি সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্বামী বলেন, আমি প্রাক্তন বিচারপতির সঙ্গে সহমত। স্বামীরও দাবি, ভার্মার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনও অভিযোগ ছিল না। সিভিসির দাবি কখনও শেষ কথা হতে পারে না। ইতিপূর্বে পট্টনায়েকও একই দাবি করেছিলেন ওই সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে। সিভিসির জমা দেওয়া রিপোর্ট শিরোধার্য করার আগে কেন ভার্মাকে ডেকে তাঁর বক্তব্য জানতে চাওয়া হয়নি? এই প্রশ্নই তুলেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পর সিবিআই ডিরেক্টরের পদে পুনরায় যোগ দেন অলোক বর্মা। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই সিলেক্ট কমিটি তাঁকে সেই পদ থেকে সরিয়ে অপেক্ষকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদে বদলি করে। সিলেক্ট কমিটির সদস্য হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ও বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। এরপরই শুক্রবার দুপুরেই সকল পদ থেকে ইস্তফা দেন অলোক বর্মা। তারপর আরও তুঙ্গে ওঠে সিবিআই বিতর্ক।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে স্পষ্টই বলেছিলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অনৈতিক ও অসাংবিধানিক। এক জনকে পছন্দ হচ্ছে না বলে তাকে এ ভাবে সরিয়ে দেওয়া য়ায় না। সব লক্ষণরেখাকে ওরা অতিক্রম করে গিয়েছে।’ এবার সেই একই সুর শোনা গেল স্বামীর গলাতেও।