পুলিশের কাজে তৃণমূল সরকার কোনওরকম রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করবে না। এটাই সরকারের অবস্থান। কোচবিহারের প্রশাসনিক বৈঠকের মঞ্চ থেকে একথা সাফ জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনহাটা-সিতাই-শীতলকুচি এলাকায় রাজনৈতিক অশান্তি বন্ধে কড়া বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনটি এলাকার পুলিস আধিকারিকদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর স্পষ্ট নির্দেশ, ‘এলাকায় কোনও নেতাগিরি চলবে না। আইনভঙ্গকারীদের প্রতি কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি কেউ কিছু বলতে আসে, তাহলে বলতে হবে সরকারি নির্দেশ।’
প্রশাসনিক সভায় আইনশৃঙ্খলা থেকে শিল্পস্থাপন – সব বিষয়েই কঠোর অবস্থান নেন প্রশাসক মমতা। তিনি জানিয়েছেন, ‘শিল্প গড়তে কোনও ঢিলেমি বরদাস্ত করা হবে না’। এই প্রশ্নে একদিকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সতর্ক করার পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী।
আসামে নাগরিক পঞ্জী নিয়ে পর পর আত্মহত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ মমতা বলেন, তাঁর কথায়, ‘এগুলো দুঃখজনক ঘটনা। আমরা উদ্বিগ্ন। কেন্দ্রীয় সরকারকে এর দায়িত্ব নিতে হবে।’ সাবেক ছিটমহলের বাসিন্দাদের জমির অধিকার নিয়েও কঠোর অবস্থান নেন। ভারতভুক্তির পর ছিটমহলের ৬০০০ একর জমির বাসিন্দারা এখনও জমির নথি হাতে পাননি জেনে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এটা ওঁদের অধিকার। তিনদিনের মধ্যে অর্ডিন্যান্স করে এই সমস্যা মেটাতে হবে। প্রশাসনিক ঢিলেমির জন্য মানুষের হেনস্থা বরদাস্ত করা হবে না।’
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের পরিকাঠামো উন্নয়নের বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যবসায়ী সমিতি। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের পুরসভা ও প্রশাসনের সঙ্গে বসতে বলেন। ব্যবসায়ীদের সাময়িকভাবে সরিয়ে বাজার সংস্কারের পর তাঁদের হাতে দোকান হস্তান্তরের প্রস্তাব দেন মুখ্যমন্ত্রী।