কাজ শুরু মোহনবাগানের নব নির্বাচিত কমিটির। কাল, বুধবার নতুন কমিটির প্রথম কার্যকরী কমিটির বৈঠক। তাতে ক্লাবের সভাপতি বেছে নেওয়ার কাজটা সেরে ফেলতে হবে। ক্লাবের সংবিধান অনুযায়ী, প্রথম বৈঠকেই সভাপতি বেছে নিতে হয়।
ক্লাব তঁাবুতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে বিশিষ্ট আইনজীবী গীতানাথ গাঙ্গুলির নাম। বাগান সচিব টুটু বসু সদ্য নির্বাচিত কমিটির কাছে গীতানাথ গাঙ্গুলির নাম সভাপতি হিসেবে হয়তো প্রস্তাব করবেন। ময়দানের সকলেই জানেন, গীতানাথ গাঙ্গু্লি অজাতশত্রু। মোহনবাগানের প্রবীণ সদস্য। টুটুর সঙ্গে দীর্ঘদিনের সু–সম্পর্ক। সুতরাং, কালকের সভায় গীতানাথের নাম সচিব টুটু প্রস্তাব করলে, কমিটির অন্যান্য সদস্যদের সম্মতিতে তা পাশ হয়ে যেতে পারে। সোজা কথায়, মোহনবাগানের সভাপতি হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন গীতানাথ। টুটু গোষ্ঠীর হয়ে নির্বাচনী প্রচারেও গীতানাথকে দেখা গেছে। নির্বাচনের দিন গোষ্ঠ পাল সরণীতে সৃঞ্জয় বসু, দেবাশিস দত্তদের নির্বাচনী ক্যাম্পে টুটু বসুর পাশে বসে থাকতে দেখা যায় গীতানাথকে। টুটুর একপাশে গীতানাথ, অন্যপাশে বলরাম চৌধুরি বসে ছিলেন। দীর্ঘক্ষণ। শোনা যাচ্ছে, ক্লাবের সহ–সভাপতি হওয়ার তালিকায় পয়লা নম্বর নামটা বলরামের। ক্ষমতায় ফিরে বলরামকে পদে ফেরাচ্ছেন টুটু, এটা একপ্রকার নিশ্চিত। সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে বলরামের ‘সাপোর্ট’ ভুলে যাওয়ার লোক টুটু নন। এ নিয়ে বলরামকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই।’
বাগান সচিব পদে টুটু এখন বেশ কয়েক মাস থাকবেন। তাড়াহুড়ো নেই। তঁাবুর ভিতরের খবর, নতুন বছরের মাঝ বরাবর, লোকসভা নির্বাচনের পর সচিব পদে বসতে পারেন সৃঞ্জয় বসু। এখন আপাতত সহ–সচিব হয়েই ক্লাবের যাবতীয় দায়–দায়িত্ব সামলাবেন সৃঞ্জয়ই। অসুবিধের তো কিছু নেই। তা হলে তাড়াহুড়ো দেখিয়ে লাভ নেই। পরের মাসে সচিব ব্যক্তিগত কাজে শহরের বাইরে যাবেন। তার আগেই সভাপতি বাছাইয়ের কাজটা সেরে ফেলতে চান।
সোমবার বিকেলে দলের অনুশীলনে হাজির ছিলেন কমিটির বেশ কয়েকজন। ফুটবলারদের মধ্যেও স্বস্তির হাওয়া। কর্তাদের কাজিয়ায় তৈরি হওয়া দমবন্ধকর পরিস্থিতি উধাও। প্র্যাকটিসের পর বিদেশ বসুর সঙ্গে হাত মিলিয়ে অভিনন্দন জানান কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তী। ‘বন্ধু’ কাম কর্তা সঞ্জয় (বাপ্পা) ঘোষকে দেখেই জড়িয়ে ধরলেন সনি নর্ডি। প্র্যাকটিসের পর তঁাবুতে, ড্রেসিংরুম মিষ্টিমুখ চলল। ফুটবল সচিব স্বপন ব্যানার্জি রসগোল্লার হাঁড়ি নিয়ে হাজির হয়েছিলেন। সৃঞ্জয় বলেন, ‘আমাদের সামনে এখন কঠিন রাস্তা। সদস্যরা আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। সেই ভরসার যোগ্য দাম দিতে হবে। আমরা টিম হিসেবে ক্লাবকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করব।’ তঁার সংযোজন, ‘ওরা ক্লাব চালানোর সময়ও আমরাই টিম চালিয়েছি। ফুটবলারদের আমরাই আনছিলাম। কম্পানীর টাকায়। এটা আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়।’ স্পনসর নিয়ে এখনই বেশি কিছু বলতে নারাজ সৃঞ্জয়। শুধু বললেন, ‘যা হওয়ার সব সময় মতো হবে। সবেমাত্র নির্বাচন শেষ হয়েছে। সবকিছু তো আরা রকেটের গতিতে হয়ে যাবে না। সময় মতো সব হবে।’
(সংগৃহীত)