কেটে গিয়েছে বছরের পর বছর। তবুও কাটেনি অন্ধকার। মোদী-জমানায় দেশের বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে নারীসুরক্ষা ও নারীনিরাপত্তার পরিস্থিতি রয়ে গিয়েছে সেই তিমিরেই। ক্রমশ পাল্লা দিয়ে বেড়েছে নারীনির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা। রেহাই পায়নি নাবালিকা ও শিশুরাও। এবার ‘ডবল ইঞ্জিন’ মধ্যপ্রদেশের ভোপালে ১৬ বছরের নাবালিকাকে অপহরণ করে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। গত ২৫ নভেম্বর নাবালিকাকে ‘জননী এক্সপ্রেস’ নামের সরকার পরিচালিত একটি অ্যাম্বুলেন্সে রাস্তা থেকে জোর করে তোলা হয়। এরপর তাকে দু’জন যুবক মিলে ধর্ষণ করে। সেখানেই শেষ নয়, তাকে সেখানেই আটকে রাখা হয় বলে জানিয়েছেন নির্যাতিতা। সুযোগ বুঝে সেখান থেকে পালিয়ে আসতে সক্ষম হন তিনি। অসহায় অবস্থায় পুলিশের দ্বারস্থ হন। তার সঙ্গে কী ঘটেছে, জানান পুলিশকে। পুলিশ তাঁকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য পাঠায়। রিপোর্টে নিশ্চিত হয়ে যায় গণধর্ষণের বিষয়টি।
প্রসঙ্গত, ‘জননী এক্সপ্রেস’ সরকার পরিচালিত একটি অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা। বিশেষত প্রসূতি, অসুস্থ বাচ্চা এবং সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের এর মাধ্যমে এই পরিষেবা দেওয়া হয়। তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ জানতে পারে অভিযুক্তের নাম বীরেন্দ্র চতুর্বেদী। সেই ওই অ্যাম্বুলেন্সের চালক ও তার সঙ্গে ছিল তার বন্ধু রাজেশ কেওয়াত। ঘটনার পর নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে নাগারি এলাকা থেকে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল যে, ডবল ইঞ্জিন নারী সুরক্ষা কার্যত তলানিতে। তিন দিন আগেই মধ্যপ্রদেশে ১৬ বছরের কিশোরীকে গণধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। জঙ্গলের মধ্যে ওই নাবালিকাকে তিন জন মিলে ধর্ষণ করে। অভিযুক্ত একজন এখনও পলাতক। স্বাভাবিকভাবেই পরপর এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে রাজ্যজুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কীভাবে সরকার পরিচালিত অ্যাম্বুল্যান্সে এই ধরনের ঘটনা ঘটল, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
