লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে জেলা সফর করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে গিয়ে প্রশাসনিক সভাও করছেন। এবার এই প্রশাসনিক সভার ফাঁকে ‘পৃথক’ সাংগঠনিক বৈঠকও সেরে নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেই বৈঠকে তিনি নেতা–কর্মীদের একটাই বার্তা দিয়েছেন— কাঁথি এবং তমলুক দু’টো লোকসভা আসনই চাই। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে খবর, এই বার্তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। যেসব এলাকায় দলের আশাতীত সাফল্য আসবে না, সেখানকার নেতারা শাস্তির কোপেও পড়তে পারেন। সাংগঠনিক বৈঠকে এমনই বার্তা মিলেছে।
এদিকে নিমতৌড়িতে জেলা প্রশাসনিক অফিস চত্বরে সভা করার আগে তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ মিনিটের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেখানে রাজ্যের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া, কারামন্ত্রী অখিল গিরি, মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা–সহ অন্যান্যরা ছিলেন। ওই বৈঠকে জেলা নেতৃত্বদের সামনেই মন্ত্রী বিপ্লবের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ উগরে দেন বলে সূত্রের খবর। ‘অধিকারী পরিবারে’র সঙ্গে যোগ নিয়েও সরব হন তিনি। কেউ কেউ জড়িত বা যোগাযোগ রাখছেন বলেই খবর আছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। তাই সভাতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘অনেকে গদ্দারদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে। আমি সব খবর রাখি। টাকার কাছে বিক্রি হয়ে যাবে না কি?’
অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরেও পশ্চিম মেদিনীপুরের দলীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেও একাধিক লোকসভা আসন জয়লাভ করার নির্দেশ দেন তিনি। কেমন করে কাজ করতে হবে তা বাতলে দেন নেত্রী। কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে সংগঠন মজবুত রেখে ভোট করতে নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।