নেই তেমন জৌলুস। নেই তেমন পরিচিতি। প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় ছোট চালা ঘর থেকে আজ বিশাল বটবৃক্ষে পরিণত হয়েছে বেলদা কলেজ। শিক্ষার পরিকাঠামো, শিক্ষার গুণগত মান, পড়াশোনার পরিবেশ-সহ একাধিক গুণের নিরিখে ন্যাকের ভিত্তিতে এ প্লাস গ্রেড পেয়েছে এই মহাবিদ্যালয়। ন্যাকের বিচারে এই প্রাপ্তির পর প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার এই কলেজে বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স চালু হতে চলেছে। ন্যাকের বিচারে এ প্লাস গ্রেড প্রাপ্তি আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করে বেলদা কলেজ কর্তৃপক্ষ। বেলদা কলেজের সভা কক্ষে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই কলেজের এই সাফল্যের কথা তুলে ধরা হয়। উপস্থিত ছিলেন পরিচালন কমিটির সভাপতি তথা এলাকার বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্ট, কলেজের প্রাক্তন অধ্যক্ষ মানবেন্দ্র মন্ডল, বর্তমান অধ্যক্ষ চন্দ্রশেখর হাজরা প্রমুখ। গত ২৪শে জুন শনিবার ন্যাকের বিচারে এ প্লাস গ্রেড প্রাপ্তির খবর আসে বেলদা কলেজের কাছে। এই প্রাপ্তিতে খুশি বেলদা কলেজ কর্তৃপক্ষ।
প্রসঙ্গত, গত ৩১শে মে ও ১লা জুন ন্যাশনাল এসেসমেন্ট এন্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিলের পরিদর্শক দল বেলদা কলেজ পরিদর্শন করে। ২০১৫ সালে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা বেলদা কলেজে ইউজিসি’র তত্ত্বাবধানে সেই সময় ন্যাকের বিচারে বি গ্রেড পেয়েছিল। আটবছর পর মিলল এ প্লাস গ্রেড। এরপরই মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে একাধিক প্রফেশনাল কোর্স চালু করার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। বেলদা কলেজের অধীনে মহিলা আই টি আই, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বেসড কোর্স, কৃষিবিদ্যার বিভিন্ন বিষয় পড়ানোর ভাবনা কলেজের। প্রসঙ্গত চলতি শিক্ষা বর্ষ থেকে স্নাতক স্তরে চার বছরের কোর্স চালু হতে চলেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মহাবিদ্যালয়ে পরিকাঠামো গত এবং শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নের বিষয়ে জোর দিতে নেওয়া হবে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।