এই স্টেশনে জন্মেছিল সে। আর সেখানেই জীবনে প্রথমবার ভাত খেল গণেশ। পুলিশকাকুদের কোলে। হাওড়া স্টেশনে গণেশের অন্নপ্রাশনে খুব আনন্দ করল পথেই থাকা তার দাদা-দিদিরা। ব্যস্ততম হাওড়া স্টেশন কিছুক্ষণের জন্য থমকে গেল এমন অপূর্ব দৃশ্য দেখে। মাস সাতেক আগে স্টেশনের প্ল্যাটফর্মেই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন টুম্পা দাস। তার ঠিক আগেই মৃত্যু হয়েছিল টুম্পার স্বামীর। চাইল্ড লাইন সংস্থা এবং হাওড়া জিআরপি আধিকারিকরা উদ্যোগ নিয়ে মা ও সন্তানকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলেন। সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে ফেরার পর স্টেশনেই রয়েছেন মা-ছেলে। এখানেই একটি হোটেলে কাজ করেন মা। তখন ছেলেকে দেখাশোনা করেন চাইল্ডলাইনের কর্মীরা। রাতে স্টেশন চত্বরেই মায়ের সঙ্গে রাত কাটে সবার আদরের গণেশের।
অন্নপ্রাশনের উদ্যোগ নিলেন জিআরপি ও চাইল্ডলাইনের আধিকারিকরা। চাইল্ড লাইনের অফিসে ছোট্ট অনুষ্ঠান করে মুখে ভাত দেওয়া হল গণেশের। সেখানে নেমন্তন্ন পেয়েছিল স্টেশন চত্বরে থাকা অন্য শিশুরাও। হাওড়া জিআরপির ইন্সপেক্টর সিদ্ধার্থ রায় বলেন, “সব শিশুরই প্রথম ভাত খাওয়াটা স্মরণীয় করে রাখা হয়। তাহলে এই শিশুটিই বা বাদ যাবে কেন। আমরা তো জন্ম থেকেই ওর সঙ্গে আছি। তাই অনুষ্ঠান করেই ভাত খাওয়ালাম ওকে।” চাইল্ড লাইনের ডিরেক্টর জর্জ সি জে বলেন, “পথ শিশুরা যাতে বিপথগামী না হয় তারজন্য সবসময় নজর রাখা হয়। ওদের জন্যও যে পৃথিবীতে ভালবাসা আছে, এই অনুষ্ঠান সেটাই বুঝিয়ে দিল। আমরা নিশ্চিত এটা ভালভাবে থাকতে উৎসাহিত করবে ওদের। ছেলের এমন ধূমধাম করে অন্নপ্রাশন হবে ভাবতেও পারেননি মা। আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন টুম্পা।