ভোটের ফল বেরনোর আগে কোনও বৈঠক নয় বিজেপির সঙ্গে। বিভিন্ন মহল থেকে শোনা যাচ্ছিল, তিপ্রামোথা প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করবেন অমিত শাহ। যদিও এই খবর যে সত্য নয়, তা জানিয়ে দিয়েছেন প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য নিজেই৷
ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোটের প্রচারে ঝড় তুলেছিলেন তিপ্রামোথা প্রধান প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য। আর বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা এসে বারবার আক্রমণ শানিয়েছিলেন সেই তিপ্রামোথা প্রধানকেই। একইসঙ্গে তার দলকেও। যদিও তিপ্রামোথা প্রধান ভাবলেশহীন। তাঁর একটাই বক্তব্য, বারবার বঞ্চনার শিকার হয়েছে জনজাতির মানুষ, আর তাঁদের হয়েই লড়াই করেছেন। জোটে নয়, একক দক্ষতাতেই ত্রিপুরায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই করেছে তিপ্রামোথা। তিপ্রামোথাকে কাছে পেতে আগ্রহী ছিল বাম-কংগ্রেস জোট। কাছে পেতে আগ্রহী ছিল শাসক দল বিজেপিও।
যদিও বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ডের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত যে তারা জোটে যাবে না, সে বিষয়ে স্পষ্ট করে দিয়েছে। তাই তিপ্রামোথার প্রধান মহারাজা প্রদ্যোত কিশোর মাণিক্য বলেছিলেন, ‘নিজের দক্ষতাতেই তিপ্রামোথা বিধানসভা ভোটে লড়াই করবে। আমরা কারও সঙ্গে সমঝোতা করছি না’। তিপ্রামোথার অপেক্ষায় বসে না থেকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার বিধানসভা ভোটে আসন সমঝোতা পাকা করে লড়াই করে বাম-কংগ্রেস।
যদিও এখনও পর্যন্ত তিপ্রা ইন্ডিজেনাস প্রোগ্রেসিভ রিজিয়নাল অ্যালায়েন্সের নেতৃত্বে গ্রেটার তিপ্রাল্যান্ডের ‘লিখিত প্রতিশ্রুতি’র দাবিতে অনড় তিপ্রা নেতারা৷ প্রদ্যোত বিক্রম মাণিক্য দেববর্মন বলেছেন, ‘এখনও আমরা কোনও জোটে নেই। জনজাতি সম্প্রদায়ের স্বার্থরক্ষায় বৃহত্তর তিপ্রাল্যান্ড প্রতিষ্ঠাই আমাদের এক মাত্র লক্ষ্য।’