তৃণমূলের ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ কর্মসূচিকে অনুকরণ করে জনসংযোগে বেরিয়েছিলেন তিনি। আর তাতেই হল হিতে বিপরীত। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়লেন কোতুলপুরের বিজেপি বিধায়ক হরকালী প্রতিহার। কোতুলপুরের নেতাজি মোড়ে স্থানীয় টোটো চালকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। স্থানীয় এলাকার উন্নয়ন ও রাস্তাঘাটের বেহাল দশা নিয়ে বিধায়কের কাছে ক্ষোভ উগরে দেন টোটোচালকরা। রাস্তাঘাট মেরামতির প্রশ্নে তিনি কেন এত উদাসীন, এই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় বিধায়ককে। এই ধরনের পরিস্থিতির জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না বিজেপি বিধায়ক। কোনও রকমে প্রশ্নের জবাব দিয়ে এলাকা ছাড়তে দেখা যায় হরকালীকে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এ হেন ঘটনার জেরে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরের।
জানা গিয়েছে, রাস্তা নিয়ে স্থানীয় গাড়িচালক থেকে শুরু করে পথচারীদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের। বেহাল রাস্তা প্রসঙ্গে টোটো চালক শিবরাম পাল বলেন, ‘গোগড়া থেকে মদনমোহনপুর রাস্তা দীর্ঘদিন বেহাল সেদিকে বিধায়কের নজর নেই। এতোদিন এলাকায় ওঁকে দেখাই যায়নি। এখন পঞ্চায়েত ভোটের আগে ‘সিমপ্যাথি’ লাভের আশায় রাস্তায় নেমেছেন। সমস্যা সমাধানে স্থানীয় বিডিওকে ফোন করতে বললেও বিধায়ক সেই কাজ করেননি।’ এই নিয়ে বিজেপি বিধায়ককে তীব্র কটাক্ষ করেছে শাসকদল। তৃণমূলের কোতুলপুর ব্লক সভাপতি তরুণ নন্দীগ্রামী বলেন, ‘বিজেপি সুবিধাবাদী ও ধান্দাবাজ দল’ মানুষ এটা বুঝে গেছেন, তাই ঐ দলের বিধায়কের কাছে তাঁরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। নির্বাচনে জেতার পর ঐ বিধায়ককে এলাকায় দেখা যায়নি, ভোট আসছে তাই তাঁকে দেখা যাচ্ছে।’