রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পা মেলালেন সুধীন্দ্র কুলকার্নি। বৃহস্পতিবার হরিয়ানায় ভারত জোড়ো যাত্রায় রাহুলের পাশে সাড়ে সাত কিলোমিটার পথ হাঁটেন এই প্রবীণ।
প্রাক্তন বিজেপি নেতা সুধীন্দ্র একটা সময় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ি ও উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর খুবই কাছের মানুষ ছিলেন। নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ জুটি বিজেপিতে শক্তিশালী হওয়ার পর বাজপেয়ি-আডবাণীদের ঘনিষ্ঠ যে মানুষেরা গেরুয়া শিবির থেকে দূরে সরে যান, সুধীন্দ্র তাঁদের অন্যতম। দূরে সরে গিয়ে তিনি এমনকী উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
২০১৪-তে মোদীকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খোলেন প্রাক্তন এই বিজেপি নেতা। মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর ধীরে ধীরে দলের সঙ্গে সম্পর্ক কমিয়ে দেন। পরের বছর বিজেপি ছেড়েও দেন।
বরাবর রাজনীতি নির্বিশেষে সব দলের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক রেখে চলা সুধীন্দ্র তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও পছন্দের মানুষ। গত জুলাইয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়ার বৈঠক নিয়ে মমতার পরামর্শেই সুধীন্দ্র সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন।
মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা আইআইটি মুম্বইয়ের প্রাক্তনী সুধীন্দ্র একটা সময় সাংবাদিক ছিলেন। মুম্বইয়ের ‘ব্লিৎজ পত্রিকা’য় সম্পাদনাও করেছেন বহু বছর। বেশ কিছু মাস মহারাষ্ট্র বিধানসভার সদস্য ছিলেন।