করোনা সংক্রমণের দিক থেকে বাংলায় সবথেকে এগিয়ে রয়েছে হাওড়া জেলা। সেখানে ওরে রোজই কেউ না কেউ কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত হচ্ছেন। এদিন হাওড়ায় নতুন করে আরও দু’জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের হদিশ পাওয়া গেল। হাওড়া স্টেশনের কর্তব্যরত দুই আরপিএফ জওয়ানের শরীরে এদিন করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। তাঁদের দু’জনকেই ভর্তি করা হয়েছে হাওড়া ময়দানের রেলওয়ে অর্থোপেডিক হাসপাতালে।
যে দু’জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে তাঁদের মধ্যে একজন হাওড়া স্টেশনের হেড কনস্টেবল ও অন্যজন কনস্টেবল। দু’জনেই স্টেশনে ডিউটি করেন এবং আরপিএফ ব্যারাকে থাকেন। কিন্তু কী ভাবে তাঁরা সংক্রামিত হলেন এই ব্যাপারে স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি। তবে অনেকের আশঙ্কা, বাংলায় ফেরত আসা নাগরিকদের থেকে তাঁরা আক্রান্ত হতে পারেন।
গত কয়েক দিনে হাওড়া স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু করার ফলে যাত্রীরা যাতায়াত করছেন। ভিন রাজ্যে থেকে প্রচুর যাত্রী হাওড়ায় আসতে শুরু করেছেন। সেখান থেকেও সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। যদিও প্রত্যেক যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং থার্মাল স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। আরপিএফের সিনিয়র কমান্ডান্ট রজনীশ ত্রিপাঠী দু’জনের করোনা সংক্রমণের কথা স্বীকার করেছেন।
এদিকে জানা গেছে, রাষ্ট্রপতি ভবনের পর এবার লোকসভাতেও এক কর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সূত্রের খবর, সেখানকার হাউস কিপিং বিভাগের এক কর্মী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। তারপরই তাঁর গোটা পরিবারকে পাঠান হয়েছে আইসোলেশনে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী করে ওই কর্মী করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত হলেন?
সংসদে কর্মরত আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২৩ মার্চ বাজেট পেশের পরেই সংসদের অধিবেশন বন্ধ হয়ে যায়। তারপর থেকে ওই কর্মী বাড়িতেই ছিলেন। কিন্তু দিন দশেক আগে অসুস্থ বোধ করেন। গায়ে ব্যাথা ও জ্বর নিয়ে ওই কর্মী রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে যান। সেখানেই নমুনা পরীক্ষার পর জানা যায় তিনি করোনা ভাইরাসে সংক্রমিত।