ক্যাব পাশ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি গোটা দেশে। এবার এই বিতর্কের মধ্যেই ভারতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষা নিয়ে সরব হল মার্কিন সরকার। মোদী সরকারের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছে তাঁদের বিদেশ দফতর। তাতে সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মেনে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের অধিকার রক্ষায় মোদী সরকারকে সচেষ্ট হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে তাঁরা।
বৃহস্পতিবার বিদেশ দফতরের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল কী ভাবে কার্যকর করা হয়, সে দিকে নজর রেখেছি আমরা। ধর্মীয় স্বাধীনতা এবং সকলের সমানাধিকারই আমাদের দুই গণতন্ত্রের মৌলিক নীতি। ভারতের কাছে মার্কিন সরকার আর্জি জানিয়েছে, সংবিধান এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের কথা মাথায় রেখে তাঁরা যেন দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষা করে।’
পড়শি দেশ পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ থেকে আসা অমুসলিম অনুপ্রবেশকারীদের ভারতের নাগরিকত্ব দিতে গত সোমবার লোকসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বুধবার রাজ্যসভাতেও তা পাশ হয়ে যায়। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে তাতে সই করেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও।
শুরু থেকেই এই বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে মার্কিন কংগ্রেসের একটি অংশ। জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) পর দেশের সংখ্যালঘুকে নিশানা করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে মোদী সরকার নাগরিক সংশোধনী বিল এনেছে বলে দাবি তাঁদের। তা নিয়ে সপ্তাহের শুরুতেই নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহদের বিরুদ্ধে সরব হয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত কমিশন (ইউএসসিআইআরএফ)। তাঁরা জানায়, নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে ধর্মীয় মানদণ্ড বেঁধে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত বিপজ্জনক। সংসদের দুই কক্ষে বিলটি পাশ হলে অমিত শাহ-সহ দেশের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো উচিত বলেঅভমার্কিন বিদেশ দফতরের কাছে সুপারিশও করে তাঁরা।