লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরই আরও আগ্রাসী হয়ে উঠেছে গেরুয়া শিবির। গোটা রাজ্যজুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে তারা। তবে এরই মধ্যে খোদ পদ্মশিবিরের অন্দরেই চলছে ব্যাপক গোষ্ঠীকোন্দল। বিজেপির ভিতর ও বাহিরে অন্দরে-অন্দরে এখন লড়াই চলছে ‘পুরনো’ বিজেপি বনাম ‘নতুন’ বিজেপির। এবার যেমন গেরুয়া শিবিরে পা রাখার একদিন পরেই শাসকদলের প্রাক্তন বিধায়ক বিশ্বজিত দাসকে নিয়ে তোলপাড় রাজ্য বিজেপি। দলীয় কর্মী-সদস্যদের মতে, দল পরিবর্তন করেই তিনি যথেচ্ছাচার করছেন। কর্মীদের ওপর রীতিমতো অত্যাচার চালিয়ে তাঁর কথা শুনতে বাধ্য করছেন। ফলে অবিলম্বে তাঁকে সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত, বাগনান উত্তর থেকে দু-বার জিতে আসা বিধায়ক বিশ্বজিত মঙ্গলবারই দিল্লীতে গিয়ে দলবদল করেন। তবে তারপর ২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই গতকাল বাগনানের রাস্তায় প্রতিবাদ মিছিলে নামের সেখানকার বিজেপি সমর্থকেরা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে দল থেকে সরাতে হবে বিশ্বজিতকে। এ প্রসঙ্গে তাঁদের আরও মত, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকেই একের পর এক ভিনদলের নেতা এসে যোগ দিচ্ছেন দলে। এবং দলের সমর্থকদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছেন। এভাবে বহিরাগতরা বিজেপিতে ভিড় জমাতে থাকলে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে। উল্লেখ্য, এর আগে মনিরুল ইসলাম বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়ও একইভাবে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছিলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এবারও ঠিক একইভাবে কর্মী-সমর্থকদের প্রতিবাদে সিঁদূরে মেঘ দেখছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।