বিশ্বকাপ নিয়ে এখন বিশ্ববাসী এক অন্য উন্মাদনায় গা মিলিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের দেশকে সমর্থন করার ইচ্ছায় পাড়ি দিয়েছে ইংল্যান্ডে। বিশ্বকাপ ঘিরে সারা বিশ্ব আজ যেন এক ছাতার তলায়। সেখান থেকেই চলছে সমর্থন নিজের নিজের পছন্দের দলকে। দর্শকদের উন্মাদনায় আলাদা মেজাজ ইংল্যান্ডের।
এইবার আইসিসি বিশ্বকাপকে সাজিয়েছে অন্য ঢঙে। সেখানে সব দলই খেলবে সব দলের সঙ্গে। তাদের মধ্যে টেবিলের প্রথম চারটি দল সুযোগ পাবে সেমিফাইনালে। এত কিছুর মধ্যেও ইংল্যান্ডের আবহাওয়া যেন এই উন্মাদনাকে কোথাও ফিকে করে দিচ্ছে। আবহাওয়ার ভ্রুকুটি যেন ক্রিকেট ভক্তদের মন খারাপ করে দিচ্ছে। বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া ম্যাচ দেখতে আসা দর্শকদের চোখে কোথাও না কোথাও কান্নার আভাস। গতকালের শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশের ম্যাচটি নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত তিনটি ম্যাচে বল গড়ায়নি। বৃষ্টির চোখ রাঙানিতে টসও করা হয়ে ওঠে নি। এক ম্যাচে বৃষ্টির জন্য ম্যাচ বন্ধ ছিল দীর্ঘক্ষণ। শেষে ডিএলএস নিয়মের মাধ্যমে খেলার ফল নির্ধারিত হয়।
আগামী ম্যাচগুলোর মধ্যেও কিছু ম্যাচে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। যার ফলে বিশ্বকাপের মত মঞ্চে এত ম্যাচ অনিশ্চয়তা হওয়া বা সম্ভাবনা থাকায় সেই প্রতিযোগিতার মানসিকতা কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে। ম্যাচ না হওয়ায় পয়েন্ট ভাগ হয়ে যাচ্ছে। প্রভাব পড়ছে নেট রান রেটের ওপরেও। তাতে শেষে গিয়ে কোথাও না কোথাও টিম স্পিরিট হারিয়ে যাচ্ছে। লড়াই থেকে সরে যাচ্ছে দলগুলো। হতাশ হচ্ছে সমর্থকরা। সবথেকে বেশি প্রভাব ফেলল শ্রীলঙ্কার ওপর। তাদের দুটো ম্যাচই বাতিল হয়ে গেছে। অন্য একটি ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ হয়েছে ডিএলএস-এর মাধ্যমে। ফলে লীগ টেবিলে সেইরকম পজিশনে নেই টিম শ্রীলঙ্কা। ভেস্তে যাওয়া ম্যাচ দুটো যদি জিতত ফল হত অন্য। পরবর্তী ভারত-নিউজিল্যান্ডের ম্যাচেও আছে বৃষ্টির পূর্বাভাস।
সেখান থেকেই কোথাও গিয়ে আইসিসির ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। তাঁদের কাছে কি এসময়ের ইংল্যান্ডের আবহাওয়া সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না? তাঁরা কি এর বিকল্প কিছু ভাবতে পারত না? এভাবে ম্যাচ না খেলা হলে বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টের জন্য খুবই বাজে বিজ্ঞাপন। আইসিসির এই বিষয়টি ভাবা উচিৎ ছিল বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।