মাধবডিহি থানার বড়বৈনান গ্রামে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালানো এবং রায়না-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি তথা দলের ব্লক সভাপতি আনসার আলি-সহ দলীয় কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে মারধরের ঘটনায় ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।
বুধবার রাতে বড়বৈনান গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার কথা জানিয়ে রায়না-২ পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সৈয়দ কলিমউদ্দিন রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ৩২ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতদের ১২ জুন পর্যন্ত বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম রতন কুমার গুপ্তা। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয় বাঁশ, লোহার রড।
জখমদের মধ্যে ৫-৬ জনকে মাধবডিহি ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। চোট বেশি থাকায় সহ-সভাপতিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদিন তাঁকে দেখতে হাসপাতালে যান জেলা কৃষি উপদেষ্টা প্রদীপ মজুমদার, তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক উত্তম সেনগুপ্ত, জেলা পরিষদের মেন্টর উজ্জ্বল প্রামাণিক সহ দলের অন্যান্য নেতারা।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ বড়বৈনানে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বৈঠক শেষ হওয়ার পর আচমকা ৫০-৬০ জন বিজেপির কর্মী-সমর্থক লাঠি, টাঙি, রড প্রভৃতি নিয়ে তৃণমূলের লোকজনের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করা হয়। মারধরে পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সহ বেশ কয়েকজন জখম হন।