বিজেপির দুর্নীতির খবর সবসময়েই শিরোনামে থাকে। ভোটের অধ্যায়েও তার অন্যথা হয়নি। এবার বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠল আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। ভুয়ো সমবায় সংস্থা খুলে টাকা তছরুপের জন্যে মহেশতলা থেকে ২ বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
শুক্রবার সকালে বাঁকুড়া থানার পুলিশ দক্ষিণ ২৪ পরগনার মহেশতলা থানা এলাকা থেকে দুই বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। ধৃতদের নাম উমেশ দাস ও জয়দেব দত্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ভুয়ো সমবায় খুলে কম দামে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মোটা টাকা প্রতারণা করার। উমেশের বাড়ি মহেশতলা থানা এলাকায়। জয়দেবের বাড়ি বজবজ এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে বাঁকুড়ার এক ব্যক্তির সঙ্গে আড়াই লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে। তাদের বৃহস্পতিবার রাতে মহেশতলা ও বজবজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে তাদের বাঁকুড়ায় নিয়ে আসা হয়।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত উমেশ ও রজত দু’জনে স্থানীয় এলাকায় সিভিল কনস্ট্রাকশনের ব্যবসার পাশাপাশি নিজেরা প্রোমোটারি করতেন। দু’জনেই এলাকায় সক্রিয় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। ব্যবসায় বিশেষ সুবিধা না করতে পারায় দু’জনে মিলে একটি ভুয়ো সমবায় সমিতি খুলে প্রতারণার ফাঁদ তৈরি করেন বলে অভিযোগ। বিভিন্ন মাধ্যমে তারা রাজ্যের একাধিক জেলার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কম দামে নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা জিনিস দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিতে শুরু করেন। প্রথম দিকে বিশ্বাস অর্জনের জন্য টাকা নেওয়ার পর বিনিময়ে অর্ডার অনুযায়ী যথারীতি সামগ্রী দিয়ে দেওয়া হয়। নিত্যপ্রয়োজনীয় নানা সামগ্রী কম টাকায় পাওয়ায় বিভিন্ন মুদিখানার দোকানদার আগ্রহী হয়ে সামগ্রীর অর্ডার দেন এবং অগ্রিম মোটা টাকা দেন। বেশি লাভের আশায় শহর ছাড়িয়ে গ্রামের ব্যবসায়ীরাও অর্ডার দিতে শুরু করেন। কিন্তু, অধিকাংশকে প্রথমবার সামগ্রী দিলেও পরেরবার মোটা টাকার অর্ডার নিয়ে অভিযুক্তরা বেপাত্তা হয়ে যায়। এভাবে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করা হয় বলে অভিযোগ।
প্রতারণার শিকার হয়ে বাঁকুড়ার এক ব্যবসায়ী থানায় অভিযোগ করেন। তার ভিত্তিতে পুলিস তদন্তে নামে। একদিন আগে বাঁকুড়া পুলিসের একটি টিম মহেশতলা এলাকায় যায়। সেখান থেকে প্রথমে উমেশকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জেরা করে জয়দেবের খোঁজ মেলে। পুলিশ তারপর বজবজে গিয়ে জয়দেবকে গ্রেফতার করে।