‘পাকিস্তানের হুমকিতে ভয় পাওয়া ছেড়ে দিয়েছে ভারত। রোজ পরমাণু বোতামের কথা বলত। আমাদের কাছে তবে কী আছে? আমরা কি তা দীপাবলির জন্য বাঁচিয়ে রেখেছি?’ গুজরাটের পাটানে ভোটপ্রচারে জনসভা থেকে এমনই মন্তব্য করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। আর এই মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া উচিত নয় বলে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিল পরমাণু যুদ্ধ-বিরোধী আন্তর্জাতিক চিকিৎসকদের ভারতীয় শাখা।
পরমাণু হাতিয়ার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যকে ‘বিপজ্জনক, উস্কানিমূলক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ উল্লেখ করে বিবৃতি দিয়েছে বিশ্ব-শান্তির পক্ষে সওয়াল করা এই সংগঠন। তাঁদের অভিযোগ, ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই এই মন্তব্য করেছিলেন মোদী। সামান্য ভোট ও হাততালির জন্য এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করা হয়েছে। পুলওয়ামা ঘটনার পর ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির পরও এমন মন্তব্য করা হচ্ছে, যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
একজন রাষ্ট্রনেতা হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর এই মন্তব্যের বিরোধিতা করে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জমা করেছে ওই সংগঠন। ৬৩টি দেশের চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত ‘ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ান্স ফর দ্য প্রিভেনশন অফ নিউক্লিয়ার ওয়ার’।
সোমবার ভোটপ্রচারে পুরোদমে জাতীয়তাবাদের তাস খেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। নির্বাচন কমিশনের যাবতীয় হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সুকৌশলে উইং কম্যান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। পাশাপাশি অভিনন্দনকে না ছাড়লে পাকিস্তানকে ফল ভোগ করতে হত, বলে সাফ জানিয়ে দেন। এই প্রসঙ্গেই ‘ পরমাণু অস্ত্রে’র কথা শুনিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। যার তীব্র নিন্দা করে কমিশনকে চিঠি দিল পরমাণু যুদ্ধ-বিরোধী আন্তর্জাতিক চিকিৎসকদের ভারতীয় শাখা।