সাঁইথিয়া ও দুবরাজপুরে বর্ণাঢ্য রোড-শো করে তৃণমূলের হয়ে প্রচারে ঝড় তুললেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেব। সাঁইথিয়ায় এদিন হুড খোলা জিপে দেবের সফর সঙ্গী ছিলেন জেলা সভাধিপতি বিকাশ রায়চৌধুরী, বিধায়ক নীলাবতী সাহা, পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত। অন্যদিকে, দুবরাজপুরে তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিধায়ক নরেশ চন্দ্র বাউরি, প্রাক্তন চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে। কিন্তু এদিন সব আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন দেব। নির্ধারিত সময়ের কিছু পরে সাড়ে ১১টা নাগাদ সাঁইথিয়া কামোদাকিঙ্কর মাঠে নামে দেবের হেলিকপ্টার। তার বহু আগে থেকেই দেবকে একঝলক দেখার জন্য ভক্তরা রাস্তার দু’পাশে ভিড় করে অপেক্ষা করছিল। কাঠফাটা রোদ্দুরে যেখানে ১১ টার পর বাইরে দাঁড়ানো দায় সেখানে এই দাবদাহ উপেক্ষা করে রাস্তায় ভিড় করেন সাধারণ মানুষ। সকলের অপেক্ষারত তৃণমূল প্রার্থী দেবের জন্য।
দেবকে নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক উন্মাদনা দেখা যায়। দেবকে কাছে পেয়ে কেউ হাত মেলান, কেউ জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েন, কেউ আবার নেতাদের শত বাধা উপেক্ষা করে প্রিয় নায়কের সঙ্গে হাত মেলান। বহুদিন পর কোনও রোড-শোয়ে মানুষের এমন স্বতঃস্ফূর্ততা দেখা গিয়েছে। ভক্তকূলের চাহিদা মেনে নেতারা অভিনেতা দেবকে নিয়ে সাত নম্বর ওয়ার্ডের বলাকা মোড় থেকে রোড-শো শুরু করেন। সামনে পতাকা ছাড়া বাইক মিছিল, পরে ৫০টি ঢাক, তারপরে তাসা সহ নানা আধুনিক বাজনাও। তার পিছনে তৃণমূলের বিশাল ছাতার নিতে হুড খোলা জিপে ছিলেন দেব।
সাঁইথিয়ার কলেজ মোড়, থানার কাছে চৌরাস্তা মোড়, হাটতলা মোড় হয়ে শহরের অধিকাংশ ওয়ার্ড গিয়ে রোড-শো শেষ হয় পুরসভা অফিসের সামনে। একইভাবে দুবরাজপুরের পাওয়ার হাউস মোড় থেকে শুরু হয় এই অভিনেতার রোড শো। সেখানেও একই চিত্র ছিল। রাস্তায় উপচে পড়ে আট থেকে আশি। দেড় কিমি রাস্তা অতিক্রম করে মাদ্রিক সংঘের মাঠে অভিনেতাকে আনতে সময় লেগে যায় আধ ঘণ্টারও বেশি। মাদ্রিক সংঘের জনসভাও করেন তিনি। ভোট দেওয়া আবেদন জানিয়ে দেব গাড়িতে দুবরাজপুর আশ্রম মোড় পর্যন্ত গিয়ে হেলিপ্যাডের উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। সাঁইথিয়া পুরসভার চেয়ারম্যান বিপ্লব দত্ত ও দুবরাজপুর পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পীযূষ পাণ্ডে বলেন, “মানুষের এই উৎসাহ, উদ্দীপনা সত্যিই আমাদের স্বস্তি দিয়েছে”।