হাতে আর মাত্র ক’টা দিন৷ তাই দিনরাত এক করে প্রচার চালাচ্ছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা৷ আর বিরোধীরা বেশ ব্যাকফুটে৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়ার জন্যে কোনও কিছুকেই বাধা বলে মনে করেন না তাঁর সৈনিকেরাও তাঁরই মতন। তাই তীব্র রোদকে উপেক্ষা করেই গতকাল দিনভর সারেঙ্গার জঙ্গলমহলে রোড শো করলেন বাঁকুড়ার তৃণমূল প্রার্থী সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
গতকাল সুব্রতবাবু বলেন, “আগে জঙ্গলমহলের রাস্তায় মানুষ যাতায়াত করতে পারত না। আমি মন্ত্রী থাকাকালীন সারেঙ্গার প্রত্যন্ত এলাকাতেও পিচ রাস্তা হয়েছে। পাশাপাশি ওই ব্লকের জন্য পানীয় জলের ব্যবস্থাও আমি করেছি। সারেঙ্গায় অনেক ফাঁকা জায়গা রয়েছে সেখানে শিল্প গড়া যেতে পারে। জঙ্গলমহলের ছাত্রছাত্রীরা ভালো ফলাফল করে। তাঁদের জন্য ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। আরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে”।
সুবতবাবু সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রচার শুরু করেন। একদা মাওবাদীদের আঁতুড়ঘর বলে পরিচিত পিড়লগাড়ি মোড় থেকে প্রচারপর্ব শুরু হয়। তৃণমূল প্রার্থী হুডখোলা জিপে রোড শো করেন। সঙ্গে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বাইক নিয়ে র্যালি করেন। এদিন প্রার্থীর সঙ্গে বাঁকুড়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি মৃত্যুঞ্জয় মুর্মু, রাইপুরের বিধায়ক বীরেন্দ্রনাথ টুডু, জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি রাজীব ঘোষাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এদিন প্রচারে নেমে সারেঙ্গায় বজরংবলির মন্দিরে প্রণাম ও চার্চে কিছুক্ষণ প্রার্থনা করেন। এলাকায় সিধু-কানুর আবক্ষ মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এদিন সারেঙ্গার গড়গড়িয়া পর্যন্ত রোড শো হয়। এদিনের প্রচারকে কেন্দ্র করে শাসক দলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। সুব্রতবাবুকে তাঁরা সবুজ আবিরে রাঙিয়ে দেন।
বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামল সাঁতরা খণ্ডঘোষের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন। পূর্ব বর্ধমান জেলার খণ্ডঘোষ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে এলাকার একাধিক গ্রামে এদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিছিল ও পথসভা হয়। তৃণমূল প্রার্থী মৃগাঙ্ক মাহাত পাড়া এবং রঘুনাথপুর-২ ব্লক এলাকায় প্রচার করেন। চেলিয়ামা এলাকায় বড় মিছিল করে তৃণমূল। প্রার্থী ছাড়াও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত, সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, পাড়ার বিধায়ক উমাপদ বাউরি উপস্থিত ছিলেন। ঝড় বৃষ্টির জেরে দুপুরের প্রচার খানিকটা ব্যাহত হয় বলে জানান তৃণমূল প্রার্থী।