কলম্বো বিস্ফোরণে নিহত হলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাতি। শেখ হাসিনার ভাইপো তথা শাসক আওয়ামি লিগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের মেয়ে-জামাই ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন শ্রীলঙ্কায়। তাঁদের সঙ্গে ছিল তাঁদের দুই সন্তান জায়ন ও জোহান। ওই পরিবারটি উঠেছিল কলম্বোর শাংগ্রি লা হোটেলে। গতকাল সকালে ওই হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গীরা। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় বছর আটের জায়নের। জায়নের বাবাও গুরুতর আহত। জায়ন ও তাঁর বাবা বিস্ফোরণের সময় হোটেলের এক রেস্তোরাঁয় খেতে গেছিলেন। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। আর তাতেই প্রাণ যায় বছর আটের এক ফুটফুটে শিশু। রবিবার সকালে শ্রীলঙ্কার কয়েকটি হোটেলে ও চার্চে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। অন্তত ২৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৫০০ জনের বেশি।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের এক অফিসার জানিয়েছেন, ‘সনিয়া, মহিরুল ও তাঁদের দুই ছেলে জায়ন ও জোহান কলম্বোয় ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। বিস্ফোরণের সময় মশিরুল ও জায়ন হোটেলের নীচে রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল। অন্যদিকে জোহান ও তার মা ছিল হোটেলের ছ’তলায় নিজেদের ঘরে’। শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশের হাই কমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লা জানিয়েছেন, ‘আমরা শ্রীলঙ্কায় যে বাংলাদেশীরা বসবাস করেন, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছি। তাঁদের বলা হচ্ছে, বাড়ির বাইরে বেরোবেন না। দরকার হলে নিরাপদ জায়গায় চলে যান। বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য হেল্পলাইনও চালু করা হয়েছে’।
শেখ সেলিমের ব্যক্তিগত সহকারী ইমরুল হক রবিবার রাত ১১ টা নাগাদ জানান, ছোট্ট জায়নের মৃত্যু হয়েছে। বিস্ফোরণে মশিরুল হক চৌধুরিও আহত হয়েছেন। তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর অবস্থা সংকটজনক। জায়নের মৃতদেহ মঙ্গলবার বাংলাদেশে নিয়ে আসা হবে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সন্ধ্যায় ব্রুনেইয়ে এক অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, শেখ সেলিমের জামাই ও নাতি একটি রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল। এমন সময় বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে তাঁর নাতির মৃত্যু হয়েছে।